চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

সাজ্জাদ হোসেনঃ

সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত বাস চালক ও হেলপারের বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের সামনের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

এ সময়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিহত দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জন্য বাসচালক ও হেলপারকে দায়ী করে তাদের বিচার দাবি করেন। পাশাপাশি তিন দফা দাবি পেশ করেন তারা। দাবিগুলো হলো- শাহ আমানত ও এবি ট্রাভেলসের যান চলাচল চুয়েট ক্যাম্পাসের সামনে নিষিদ্ধ করতে হবে, নিহত শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেনের নামে বিশ্ববিদ্যালয় দুটি বাসের নামকরণ করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে শাহ আমানত পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা করবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও বৈদ্যুতিক প্রকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দেবাশীষ শর্মা বলেন, নিয়মিত চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে দুর্ঘটনায় ঘটে। কেউ মারা যায়, কারো হাত-পা ভেঙে যায়। গতকাল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল। আমরা তাদের হত্যার বিচার চাই। শাহ আমানত পরিবহনের বাসচালক এবং হেলপারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদেরকে শাস্তি দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা সব বন্ধ থাকবে।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার রাশেদ বলেন, একটু আগে নিহত শিক্ষার্থীর গায়েবানা জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পরে প্রেস কনফারেন্স করে লিখিত আকারে তাদের দাবি জানাবে বলে জানিয়েছে। এখন সবাই বিক্ষিপ্তভাবে কথা বলছে। আর উপাচার্য স্যার বলেছেন, শিক্ষার্থীদের অনুকূলে যায় এমন সকল দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেনে নেবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে এবং বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শাহ আমানত পরিবহন মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য স্যার।এর আগে গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন ও একজন আহত হন।

নিহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও একই বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। শান্ত সাহা নরসিংদী জেলা সদরের কাজল সাহার ছেলে এবং তৌফিক হোসেন নোয়াখালীর সুধারাম উপজেলার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।এ ঘটনায় আহত জাকারিয়া হিমু পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।