গুচ্ছের পরীক্ষার্থী-অভিভাবকদের সহযোগিতায় নানা উদ্যোগ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
আফরিন আক্তারঃ
তীব্র গরমের মধ্যে গুচ্ছের পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একটু স্বস্তি দিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নেয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিভিন্ন জেলা ছাত্রকল্যাণ ও শাখা ছাত্রলীগ অভিভাবকদের বসার স্থান, ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা ও মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি বোধ করেছেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকার।শনিবার ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষার দিন তারা এ ব্যবস্থা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিভাবকদের বসার জন্য ভিক্টোরিয়া পার্কে চেয়ারের ব্যবস্থা করে। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে কয়েকটি স্থানে খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়। একই সাথে চিকিৎসার জন্য দুটি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়। দুইজন চিকিৎসক নিয়োজিত ছিলেন অভিভাবকদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য। ঢাকা ওয়াসা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো এমন উদ্যোগ নেয়।
জুয়েল রানা নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, আমার সাথে থাকা মোবাইল ও ঘড়ি নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না। এদিকে আমার সাথে কেউ ছিল না। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের পাশেই কিছু ভাইয়েরা সেগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। তাদের কাছে সেগুলো রেখেই আমি পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা ছাত্রকল্যাণ ও শাখা ছাত্রলীগও স্যালাইন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে। রাজবাড়ী জেলা ছাত্রকল্যাণের সেক্রেটারি সোহান প্রামানিক বলেন, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন জেলা ছাত্রকল্যাণ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পাশাপাশি আমরাও পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়াও পরীক্ষার্থীদের কাছে থাকা বিভিন্ন ব্যাগ, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সযত্নে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
‘এ’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট ৫৩ হাজার ৮১৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। মূল কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ জবির অধীনে আরও ৫টি উপ-কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫৭৯ জন, ঢাবিতে ২৫ হাজার ২৯৬ জন, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে ৩ হাজার, সরকারি বাংলা কলেজে ৬ হাজার ৭৪০, ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে ৩ হাজার ২০০ এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে পরীক্ষা দিয়েছেন ৩ হাজার পরীক্ষার্থী।
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোণা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ), চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুনামগঞ্জ) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পিরোজপুর)।