ডিএসই-র সাপ্তাহিক শেয়ার বাজারে মূলধন কমেছে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

সেলিনা আক্তারঃ

টানা দরপতনে হতাশ হয়ে পড়েছেন শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরা। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নানা উদ্যোগেও বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসসিতে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই সূচকের বড় পতন হয়েছে। কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনকৃত মোট কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৫৭টির, কমেছে ৩২৭টির আর ১০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ, সপ্তাহ জুড়ে লেনদেন হওয়া ৮৫.১৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে মূল্যসূচকে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স কমেছে ১৬৮.২১ পয়েন্ট।

অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ১০.০৬ পয়েন্ট। আর ইসলামি শরিয়াহর ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ২৯ দশমিক ২৯ পয়েন্ট। তবে মূল্যসূচক কমলেও বিদায়ি সপ্তাহে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৫২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৭৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। এই হিসাবে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।বিদায়ি সপ্তাহে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২.৯ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩.৪ শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১২ শতাংশ। বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসইতে পাট ও তথ্যপ্রযুক্তি খাত বাদে বাকি সব খাতেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ৮.১ শতাংশ, জীবনবীমায় ৭.১ শতাংশ ও সিরামিক খাতে ৬ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন ছিল।

অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনকৃত মোট ৩০৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ২৪৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির দর। এছাড়া, সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২.৬৪ শতাংশ কমে ১৫ হাজার ৮১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৬ হাজার ২৪৪ পয়েন্টে। বিদায়ি সপ্তাহে এই বাজারে মোট ৮১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৮ কোটি টাকা।