বোলাররা লক্ষ্যটা রেখেছিলেন নাগালেই। কিন্তু ১ রানের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে পথ হারাতে বসেছিল বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান চাপের মধ্যে পথ দেখালেন দলকে। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ।
৫ উইকেটের জয়
এই সিরিজের আগে জয় ছিল না একটিও। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ শেষেই জয় হয়ে গেল দুটি! দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে জিতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।
যে কোনো ধরনের ক্রিকেটে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়াকে টানা দুই ম্যাচে হারাল বাংলাদেশ। সফরকারীদের ১২১ রান ৮ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর দল।
তিন চারে ২১ বলের ২২ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান। চার মেরে ম্যাচ শেষ করে আসা আফিফ ৩১ বলে অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে। তার অসাধারণ ইনিংসে পাঁচটি চারের পাশে ছক্কা একটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১২১/৭ (ফিলিপি ১০, কেয়ারি ১১, মার্শ ৪৫, হেনরিকেস ৩০, ওয়েড ৪, টার্নার ৩, অ্যাগার ০, স্টার্ক ১৩*, টাই ৩*; মেহেদি ৩-০-১২-১, নাসুম ৪-০-২৯-০, সাকিব ৪-০-২২-১, মুস্তাফিজ ৪-০-২৩-৩, শরিফুল ৪-০-২৭-২, সৌম্য ১-০-৭-০)
বাংলাদেশ: ১৮.৪ ওভারে ১২৩/৫ (নাঈম ৯, সৌম্য ০, সাকিব ২৬, মেহেদি ২৩, মাহমুদউল্লাহ ০, আফিফ ৩৭*, সোহান ২২*; স্টার্ক ৩-০-২৮-১, হেইজেলউড ৩.৪-০-২১-১, অ্যাগার ৪-০-১৭-১, জ্যাম্পা ৪-০-২৪-১, টাই ৩-০-২৭-১, মার্শ ১-০-৬-০)
আফিফ-সোহান জুটির ফিফটি
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর দলকে টানছেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান। দারুণ ব্যাটিংয়ে দুই জনে ৩৮ বলে উপহার দিয়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি। তাদের ব্যাটে জয়ের দুয়ারে বাংলাদেশ।
১৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ১১৮। জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ৪ রান চাই স্বাগতিকদের।
৫ ওভারে চাই ৩২ রান
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে টানছেন আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান। তাদের ব্যাটে ভালোভাবেই লড়াইয়ে আছে স্বাগতিকরা।
১৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ৯০। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৩২ রান চাই তাদের।
স্টাম্পড মেহেদি
ছক্কা মারার পর শান্ত হয়ে গিয়েছিলেন মেহেদি হাসান। হঠাৎ করেই যেন খেই হারালেন। অকারণে তেড়েফুড়ে মারতে গেলেন অ্যাডাম জ্যাম্পাকে। লেগ স্পিনারের বলে লাইন মিস করে হলেন স্টাম্পড।
২৪ বলে এক ছক্কায় ২৩ রান করেন মেহেদি।
১৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ৭১। ক্রিজে আফিফ হোসেনের সঙ্গী নুরুল হাসান সোহান।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন আফিফ
বোলিংয়ে এসে দ্বিতীয় বলেই উইকেট পেয়ে যাচ্ছিলেন মিচেল মার্শ। এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন আফিফ হোসেন।
ফুল লেংথ বল ব্যাটে খেলতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর নেন রিভিউ। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে, বল পড়েছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে।
সেই ওভারে ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারি পান আফিফ।
১১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ৬৬।
দলকে চাপে ফেলে মাহমুদউল্লাহর বিদায়
কোনো বিপদ ছিল না অ্যাশটন অ্যাগারের বলে। স্পিন করে বেশ বেরিয়ে যাচ্ছিল। তবুও তাড়া করতে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। সেই চেষ্টায় ডেকে আনলেন বিপদ। ব্যাটের কানায় লেগে হলেন বোল্ড।
১ রানের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
প্রথম ১০ ওভারে চারটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ, সব ব্যাটসম্যানই বোল্ড!
বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ৬০। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন ৬২ রান।
লাইন মিস করে বোল্ড সাকিব
ওভার প্রতি প্রয়োজন নেমে এসেছিল সাড়ে পাঁচের নিচে। স্রেফ এক-দুই করে খেললেই হলো। তবুও ঝুঁকি নিলেন সাকিব আল হাসান। এর মাশুল দিলেন বোল্ড হয়ে।
অ্যাডাম জ্যাম্পাকে আগের ওভারে ছক্কা মেরে চাপ একেবারে সরিয়ে দিয়েছিলেন মেহেদি হাসান। অ্যান্ড্রু টাইয়ের প্রথম বলে আসে দুই, পরের বলে চার। তৃতীয় বলটি এগিয়ে গিয়ে ক্রস ব্যাটে খেলতে চাইলেন সাকিব।
ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। বল আঘাত হানে অফ স্টাম্পে। ভাঙে ৩২ বল স্থায়ী ৩৭ রানের জুটি।
১৭ বলে চারটি চারে ২৬ রান করেন সাকিব।
৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৫৮। ক্রিজে মেহেদি হাসানের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন সাকিব
অ্যাশটন অ্যাগারের বলে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন সাকিব আল হাসান।
বাঁহাতি স্পিনারের বল পা বাড়িয়ে খেলেছিলেন তিনি। কিন্ত ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া দিলে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন সাকিব।
বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, একটুর জন্য লেগ স্টাম্প মিস করত বল! বেঁচে যান সাকিব।
এই ওভারেই লং অফে ক্যাচের মতো দিয়ে বেঁচে যান মেহেদি হাসান। ছুটে এসে একটুর জন্য বলের নাগাল পাননি মিচেল স্টার্ক।
৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৪১। সাকিব ১১ বলে ১৭ ও মেহেদি ১৬ বলে ১৪ রানে খেলছেন।
নাঈমও বোল্ড
স্টাম্প সোজা বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে ফিরলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখও। জায়গায় দাঁড়িয়ে লেগে খেলার চেষ্টায় একটু নিচু হওয়া বলের নাগাল পাননি বাঁহাতি এই ওপেনার। উপড়ে যায় স্টাম্প।
১৩ বলে ৯ রান করেন নাঈম।
প্রমোশন পেয়ে চারে নেমেছেন মেহেদি হাসান। আগের ম্যাচে এই পজিশনে খেলেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ২২।
শূন্যতেই শেষ সৌম্য
প্রথম দুই ওভার খেলে দিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তৃতীয় ওভারে স্ট্রাইক পেয়ে সৌম্য সরকার টিকলেন কেবল দুই বল।
মিচেল স্টার্কের প্রথম বল কাভারে ড্রাইভ করেছিলেন সৌম্য। পরের বলটি ছিল স্টাম্পে। জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্রস ব্যাটে খেলার চেষ্টায় ব্যাটে ছোঁয়াতে পারেননি। এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প।
দুই বলে শূন্য রানে ফিরেন সৌম্য। পরের তিন বলে তিনটি বাউন্ডারি মারেন নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। এর তৃতীয়টিতে ঝাঁপিয়ে বলের নাগাল পাননি কিপার ম্যাথু ওয়েড।
৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ২১।
নাঈমের হেলমেটে স্টার্কের ছোবল
মিচেল স্টার্কের তেজ ইনিংসের প্রথম ওভারেই টের পেলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। শরীর তাক করে আসা গতিময় বাউন্সার থেকে নিজেকে সরাতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, বল লাগে হেলমেটে।
ফিজিও তাৎক্ষনিক মাঠে ঢুকে পরীক্ষা করে দেখেন নাঈমকে। সব ঠিক থাকায় কিছুক্ষণ পর ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি।
১২২ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
মুস্তাফিজুর রহমানের করা শেষ ওভারে ১১ রান নিয়ে লক্ষ্যটা ওভার প্রতি ছয়ের উপরে রাখতে পারল অস্ট্রেলিয়া।
ইনিংস জুড়ে রানের লড়াই করা সফরকারীরা ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে করতে পেরেছে ১২১ রান। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে নেই কোনো ফিফটি, সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন মিচেল মার্শ। তিনি ছাড়া ১৫ ছাড়াতে পেরেছেন কেবল মোইজেস হেনরিকেস।
২৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার মুস্তাফিজ। শরিফুল ২ উইকেট নিয়েছেন ২৭ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১২১/৭ (ফিলিপি ১০, কেয়ারি ১১, মার্শ ৪৫, হেনরিকেস ৩০, ওয়েড ৪, টার্নার ৩, অ্যাগার ০, স্টার্ক ১৩*, টাই ৩*; মেহেদি ৩-০-১২-১, নাসুম ৪-০-২৯-০, সাকিব ৪-০-২২-১, মুস্তাফিজ ৪-০-২৩-৩, শরিফুল ৪-০-২৭-২, সৌম্য ১-০-৭-০)
শরিফুলের শিকার টার্নার
গতি কমিয়ে দিয়েছেন পেসাররা। রানের পথ খুঁজে পাচ্ছেন না অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান। মরিয়া চেষ্টায় পড়ল আরেকটি উইকেট। শরিফুল ইসলামের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন অ্যাশটন টার্নার।
বাঁহাতি পেসারের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি উড়িয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন টার্নার। টাইমিং হয়নি একেবারেই। একটু সরে গিয়ে ক্যাচ মুঠোয় জমান মাহমুদউল্লাহ।
৭ বলে ৩ রান করেন টার্নার।
১৯ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৭ উইকেটে ১১০। ক্রিজে মিচেল স্টার্কের সঙ্গী অ্যান্ড্রু টাই।
মুস্তাফিজের জোড়া আঘাত
হাতে উইকেট আছে কিন্তু রানের গতি এখনও মন্থর। ফুরিয়ে আসছে ওভার। তাই মুস্তাফিজুর রহমানের উপর চড়াও হতে গেলেন ম্যাথু ওয়েড। অফের দিকে সরে গিয়ে ফাইন লেগ দিয়ে খেলার চেষ্টায় হলেন বোল্ড। উপড়ে গেল স্টাম্প।
৭ বলে ৪ রান করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।
পরের বলে মিলে অ্যাশটন অ্যাগারের উইকেট। গুড লেংথ বল কাট করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার প্রত্যাশার চেয়ে বাড়তি লাফিয়ে ও ভেতরে ঢুকে গ্লাভস ছুঁয়ে জমা পড়ে নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে।
মুস্তাফিজের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেন মিচেল স্টার্ক।
১৮ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৬ উইকেটে ১০৫। ক্রিজে স্টার্কের সঙ্গী অ্যাশটন টার্নার।
মার্শকে থামালেন শরিফুল
আক্রমণে ফেরা শরিফুল ইসলামের উপর শুরু থেকেই চড়াও হতে চেয়েছিলেন মিচেল মার্শ। তেড়েফুড়ে মারতে গিয়ে ঠিক মতো খেলতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ক্যাচ গ্লাভসে জমান নুরুল হাসান সোহান।
৪২ বলে পাঁচ চারে ৪৫ রান করেন মার্শ। প্রথম ম্যাচ একই স্কোরে ফিরেছিলেন তিনি।
পরের বলেই ম্যাথু ওয়েডকে রান আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেন মেহেদি হাসান।
১৭ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৪ উইকেটে ১০২। ক্রিজে ওয়েডের সঙ্গী অ্যাশটন অ্যাগার।
জুটি ভাঙলেন সাকিব
অস্ট্রেলিয়ার জমে যাওয়া জুটি ভাঙলেন সাকিব আল হাসান। দারুণ এক ডেলিভারিতে মোইজেস হেনরিকেসকে বোল্ড করে দিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
সাকিবকে স্লগ করতে চেয়েছিলেন হেনরিকেস। কিন্তু বলে-ব্যাটে করতে পারেননি। এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প। ভাঙে ৫২ বল স্থায়ী ৫৭ রানের জুটি।
১৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৩ উইকেটে ৯০। ক্রিজে মিচেল মার্শের সঙ্গী অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড।
মার্শ-হেনরিকেস জুটিতে পঞ্চাশ
মন্থর শুরুর পর দলকে টানলেন মিচেল মার্শ ও মোইজেস হেনরিকেস। তাদের ব্যাটে সিরিজে প্রথম পঞ্চাশ রানের জুটি পেল অস্ট্রেলিয়ার।
৪৭ বলে বলে আসে আসে তাদের জুটির ফিফটি।
১৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২ উইকেটে ৮৭। শরিফুল ইসলামের ওভারে ১০ রান নিয়ে হেনরিকেস দলের রান রেট ছয়ের উপর নিলেন হেনরিকেস।
মাঝপথে অস্ট্রেলিয়া ৫৩/২
পাওয়ার প্লেতে রানের জন্য লড়াই করা অস্ট্রেলিয়া পরেও বাড়াতে পারেনি রানের গতি। ১০ ওভার শেষেও তাদের রান রেট ছয়ের নিচে।
১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২ উইকেটে ৫৩। মোইজেস হেনরিকেস ৯ বলে খেলছেন ৫ রানে। মিচেল মার্শের রান ২৬ বলে ২৭।
মুস্তাফিজের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড ফিলিপি
পাওয়ার প্লে শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে উইকেট পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দিলেন জশ ফিলিপিকে।
শর্ট অব লেংথ ডেলিভারি সরে গিয়ে লেগে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। স্লোয়ার বল খেলতে পারেননি ব্যাটে। অনেকটা ভেতরে ঢুকে ছোবল দেয় স্টাম্পে।
এক চারে ১৪ বলে ১০ রান করেন ফিলিপি।
৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২ উইকেটে ৩২। ক্রিজে মিচেল মার্শের সঙ্গী মোইজেস হেনরিকেস।
বাংলাদেশের ব্যর্থ রিভিউ
এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে জশ ফিলিপিকে ফেরাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই চেষ্টায় হারাতে হলো একটি রিভিউ।
নাসুম আহমেদের একটু নিচু হয়ে যাওয়া বল পুল করেছিলেন ফিলিপি। তবে ঠিক মতো খেলতে পারেননি তিনি। এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন মাহমুদউল্লাহ। তবে আল্ট্রা এজে দেখা যায় বল ছুঁয়েছিল ব্যাট।
৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১ উইকেটে ২৭।
শুরুর জুটি ভাঙলেন মেহেদি
নাসুম আহমেতের ওভারে দুই চার মারা অ্যালেক্স কেয়ারিকে বেশিক্ষণ টিকতে দিলেন না মেহেদি হাসান। এই অফ স্পিনারের বলে মিড অনে ক্যাচ নিলেন নাসুম।
অফ স্টাস্পের বাইরে ফুল লেংথ বল লেগে টেনে খেলতে চেয়েছিলেন কেয়ারি। ঠিক মতো পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে মিড অনে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় জমান নাসুম।
দুই চারে ১১ বলে ১১ রান করেন কেয়ারি।
৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১ উইকেটে ১৩ভ ক্রিজে জশ ফিলিপির সঙ্গী মিচেল মার্শ।
অপরিবর্তিত অস্ট্রেলিয়াও
হেরে যাওয়া ম্যাচে কোনো পরিবর্তন আনেনি অস্ট্রেলিয়া। তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়েই খেলছে সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: অ্যাশটন অ্যাগার, অ্যালেক্স কেয়ারি, জশ হেইজেলউড, মোইজেস হেনরিকেস, মিচেল মার্শ, জশ ফিলিপি, মিচেল স্টার্ক, অ্যাশটন টার্নার, অ্যান্ড্রু টাই, ম্যাথু ওয়েড, অ্যাডাম জ্যাম্পা।
একই দল নিয়ে বাংলাদেশ
২৩ রানে জেতা দলে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকরা খেলছে একই দল নিয়ে।
বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ, মেহেদি হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
টস
আগের ম্যাচ টস জিতে বোলিং নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। এবার নিলেন ব্যাটিং। দুই সিরিজ মিলিয়ে টানা পাঁচ টসে হারলেন মাহমুদউল্লাহ। আগের চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে দল।
ভুল শুধরে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ
প্রথম ম্যাচের জয়টা যে খুব বড় করে দেখছে না বাংলাদেশ সেটা বোঝা গেছে উদযাপন দেখেই। মুস্তাফিজুর রহমান দারুণ এক ডেলিভারিতে মিচেল স্টার্কের লেগ স্টাম্প উপড়ে ফেলার পর উচ্ছ্বাসে তেমন ভেসে যাওয়া নেই। যেন রুটিন এক জয়।
ম্যাচের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, জয়ের পর পা মাটিতেই আছে তাদের। ২৩ রানে জেতা ম্যাচের ভুল শুধরে দ্বিতীয় ম্যাচের শুরু থেকে খেলতে চান নিজেদের সেরা ক্রিকেট।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়।
প্রথম টি-টোয়েন্টিকে স্পিনে ভোগান্তিতে পড়া অস্ট্রেলিয়া ঘুরে দাঁড়াতে সাহসী হতে চায়। বাংলাদেশের স্পিনারদের সামলাতে স্মাট ক্রিকেট খেলতে চায়।