দেশের সমৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী শক্তিকে আরো প্রসারিত করতে হবেঃ বিটিআরসি চেয়ারম্যান 

প্রকাশিত: ১:৫৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলামঃ

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এবং দেশকে এগিয়ে নিতে উদ্ভাবনী শক্তিকে প্রসারিত করতে হবে। বর্তমান সরকার জনপ্রশাসনে কাজের গতিশীলতা, উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নাগরিক সেবা প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করতে ইনোভেশনে জোর দিয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে বিটিআরসির বাস্তবায়িত উদ্ভাবন গুলোর ইনোভেশন শোকেসিং প্রোগ্রামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইনোভেশন বলতে আমরা বুঝি একটি নতুন ও আধুনিক ধারণা, পদ্ধতি, প্রোডাক্ট, প্রযুক্তি বা পরিকল্পনা যা একটি ব্যক্তি, সংস্থা বা সমাজ তৈরি করে বা প্রয়োজনীয় পরিবর্তন এনে থাকে। ইনোভেশন অনেকগুলো ফর্মে আসতে পার। যেমন- প্রযুক্তিগত ইনোভেশন, প্রক্রিয়াবদ্ধ ইনোভেশন, পণ্য ইনোভেশন। এটি ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং পেশাদার সর্বোপরি একটি দেশের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১ এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশ গঠন করতে চায়। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফলতা পেতে দেশের সকল খাতে আমাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। এর পাশাপাশি নিত্য নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সংমিশ্রণের মাধ্যমে উন্নত দেশের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের সকল পেশার কর্মকর্তাদের বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী মানষিকতা তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইনোভেশনই হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং ইনোভেশনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় ইনোভেশনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের ফলে সেবা সহজীকরণে অনেক কিছু উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে। এর সুফল পাচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ।

বিটিআরসির ইনোভেশন শোকেসিং সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা’ এর অংশ হিসেবে বিটিআরসি হতে পূর্বে উদ্ভাবিত সেবাগুলো নিয়ে আজকের এই ইনোভেশন শো-কেসিং এর আয়োজন করা হয়েছে। আজকে এখানে মোট ৭টি উদ্ভাবনী উদ্যোগের প্রদর্শন করা হবে যার প্রতিটিই বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিটি উদ্ভাবনই একাধারে আমাদের সেবাদান পদ্ধতিকে যেমন সহজ
করেছে তেমনি জনসাধারণ এবং কমিশনের সেবা গ্রহীতাদের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। প্রতিটি উদ্ভাবনী উদ্যোগের উৎকর্ষতা আপনাদের মুগ্ধ করবে।

বিটিআরসির বিভিন্ন উদ্যোগ ও উদ্ভাবনী কার্যক্রম কেবল দেশের মাটিতেই নয় বরং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও স্বীকৃতি লাভ করেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিষয়টি আমাদের জন্য গর্বের। ভবিষ্যতেও আমাদের এ ধরনের উদ্ভাবনী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। কেননা ইনোভেশন সবসময় নতুন দিকের উন্মোচন করে দেয়।এসময় বিটিআরসির কমিশনার, বিভিন্ন বিভাগের কমিশনার মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।