বিটিআরসিতে ইনোভেশন শোকেসিংয়ে সেরা হলো যে উদ্ভাবন

প্রকাশিত: ৭:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলামঃ 

উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে প্রথমবারের মতো ইনোভেশন শোকেসিংয়ের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এতে বিভিন্ন সময়ে কমিশনের বিভাগগুলোর বাস্তবায়িত উদ্ভাবন তুলে ধরা হয়েছে। স্থান পেয়েছে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া বিভিন্ন ইনোভেশনও। আর এই প্রদর্শনীতে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে কমিশনের স্প্রেকট্রাম বিভাগের এনওসি অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডেটাবেস (এনএআইডি) সিস্টেম।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২৪ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ইনোভেশন শোকেসিংয়ে আগে উদ্ভাবিত মোট ৭টি উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়। যার প্রতিটিই বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আমিনুল হকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট জুরিবোর্ডের ৭টি উদ্ভাবনের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন নির্বাচন করেন। তারাই স্প্রেকট্রাম বিভাগের এনওসি অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডেটাবেস (এনএআইডি) সিস্টেমকে শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবন হিসেবে ঘোষণা করেন।

মূলত, সরকারি রাজস্ব সুরক্ষা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি সহজ করতে এবং দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের আইএমইআই ডাটাবেইজ তৈরি ও সংরক্ষণের জন্য এই সিস্টেমটি ২০১৯ সালের ১ আগস্ট চালু করা হয়। এর মাধ্যমে দেশের মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক, আমদানীকারকরা অনাপত্তি আবেদন করতে পারেন। একইসাথে হ্যান্ডসেটের আইএমইআই সংশ্লিষ্ট তথ্যও সিস্টেমে সংরক্ষণ করতে পারছেন।

এছাড়া সাধারণ মানুষজন মোবাইল ফোন কেনার পূর্বে যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে KYD <space> ১৫ ডিজিটের ওগঊও নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে এসএমএস পাঠালে এনএআইডি সিস্টেম হতে আইএমইআইয়ের সঠিক তথ্য যাচাই করতে পারছেন।ইনোভেশন শোকেসিংয়ে অন্যান্য প্রদর্শনী গুলো হচ্ছে- সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম, ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর), অনলাইন লাইসেন্স ইন্সুয়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজম্যান্ট সিস্টেম, ইন্টারঅ্যাকটিভ জিআইএস ম্যাপ, ডাটা ইনফরমেশন সিস্টেম (ডিআইএস) এবং কমপ্লেইন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস)।

অপরদিকে ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশ গঠন ও ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সফলতা পেতে দেশের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, সব খাতে উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি নিত্যনতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সংমিশ্রণের মাধ্যমে উন্নত দেশের সাথে সমান তালে এগিয়ে যেতে হবে। আর বিটিআরসির প্রতিটি উদ্ভাবনই সেবাদান পদ্ধতিকে সহজ করেছে। জনসাধারণ এবং কমিশনের সেবা গ্রহীতাদের জন্য সুফল বয়ে এনেছে এই উদ্ভাবন।কমিশনের অভ্যন্তরে উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিটিআরসি স্মার্ট বাংলাদেশের ‘ড্রাইভিং ফোর্স’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানান তিনি।