নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুল কাদের সেখকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।
গত ২৯ এপ্রিল জামালপুর জেলার ইসলামপুর পৌরসভার সরকারি গুদামের মালামাল লুটসহ বিভিন্ন অভিযোগে মেয়র মো. আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।আব্দুল কাদের সেখ ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং টানা তৃতীয়বারের মতো পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে উক্ত পৌরসভার ১১ জন কাউন্সিলর কর্তৃক আনিত স্বেচ্ছাচারী আচরণ, সরকারি গুদামের মালামাল লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগগুলো তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) (ঘ) এবং (২) অনুযায়ী তাকে মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১(১) অনুযায়ী— পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কার্যকলাপে জড়িত থাকা এবং অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ইসলামপুর পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে আব্দুল কাদের সেখকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বরখাস্তের বিষয়ে আব্দুল কাদের সেখ বলেন, ই-মেইলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি— মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মূলত আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বরখাস্তের বিষয়ে আইনগতভাবে মোকাবিলা করব।উল্লেখ্য, আব্দুল কাদের সেখ টানা তৃতীয়বারের মতো ইসলামপুরের মেয়রের পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
দুর্নীতি, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলে পৌর মেয়র আব্দুল কাদের সেখের অনাস্থা চেয়ে ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন পৌর কাউন্সিলররা। একই সঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কাউন্সিলররা ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও লিখিতভাবে আবেদন করেন।গত ২৭ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌরসভা কার্যালয়ে মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।