জেলা প্রতিনিধি,কুষ্টিয়াঃ
কুষ্টিয়া ডিবেটিং সোসাইটি (কেডিএস) -এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন (বিডিএফ)-এর সার্বিক সহযোগিতায় কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো তিনদিনব্যাপী “বঙ্গীয় বিতর্ক উৎসব ১৪৩১”।
এই বিতর্ক উৎসবে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ১৪টি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তঃক্লাব পর্যায়ে ১৪টি দল অংশগ্রহণ করে। ২ ও ৩ মে বিতর্ক প্রতিযোগিতা শেষে শনিবার কুষ্টিয়া পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বিতর্ক উৎসব, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী পর্ব, যেখানে কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দুইশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
আন্তঃক্লাব পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং অর্গানাইজেশন, এবং রানার আপ হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাব। আন্তঃস্কুল-কলেজ বিতর্কে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছিল রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের দু’টি দল; যেখানে তাদের ‘গামা’ দলকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে ‘ডেল্টা’ দল।
ক্লাব পর্যায়ের ফাইনালে শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক রাগীব আনজুম এবং স্কুল পর্যায়ের ফাইনালে শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক ফাতিমাতুজ জোহরা।সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “বিতর্ক তরুণ প্রজন্মকে বুদ্ধিদীপ্ত ও যুক্তিবাদী করে তোলে”। এসময় তিনি স্মার্ট তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলায় বিতর্কের মত বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমকে আরও প্রসারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। কুষ্টিয়ার সম্মৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে উল্লেখ করে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, কুষ্টিয়ার আগামী প্রজন্ম বিতর্কচর্চার মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে আরও শাণিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলায় অনুসরণযোগ্য দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন (বিডিএফ)-এর সভাপতি প্লাবন গাঙ্গুলী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, কুষ্টিয়ার সান-আপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ কাজী সামছুন নাহার আলো এবং ঐ স্কুলের পরিচালক অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক আলী মনি।
প্লাবন গাঙ্গুলী বলেন, “এই আয়োজনে বিডিএফ-এর সার্বিক সহযোগিতার লক্ষ্য ছিলো দেশের বিভিন্ন এলাকা, যারা ঢাকার মত পাদপ্রদীপের আলোয় থাকে না, সেখানে বিতর্কচর্চাকে আরও বেগবান করা। শিক্ষার্থীদেরকে যুক্তিবাদী ও প্রজ্ঞাবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে দেশব্যাপী সংস্কৃতিচর্চাকে ও প্রজ্ঞাবান প্রজন্ম গড়ে তোলার প্রয়াসকে আরও বেগবান করা সম্ভব।”