জেলা প্রতিনিধি,খুলনাঃ
খুলনায় তিন সপ্তাহের টানা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে আসে। এ সময় রেকর্ড সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় খুলনায় প্রত্যাশিত বৃষ্টি হয়েছে। এতে স্বস্তি নেমে এসেছে চারপাশে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বৃষ্টি শুরু হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। তবে শহরের পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
এদিন দুপুর থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। কখনও রোদ আবার কখনও মেঘের আনাগোনা ছিল খুলনার আকাশে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয় দমকা বাতাস। সাড়ে ৬টার দিকে শুরু হয় বজ্রপাত ও বৃষ্টি। এতে বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যায়। গোবেচাকা প্রধান সড়কে হাঁটুপানি জমে।টুটপাড়ার রহিমা আক্তার বলেন, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু গত দুদিন তাপমাত্রা কমেছে। সোমবার বিকাল থেকে আকাশে মেঘ ছিল, বাতাসও বইছিল। অবশেষে বৃষ্টির অপেক্ষার অবসান হয়। সন্ধ্যায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির পর থেকে আবহাওয়া অনেকটা ঠান্ডা। খুব ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
খালিশপুরের মুদি দোকানের কর্মচারী হামিম হোসেন বলেন, কয়েক দিনের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম। তবে রবিবার থেকে খুলনায় তাপমাত্রা কমেছে। সোমবার বিকাল থেকে আকাশে মেঘ ছিল। আমরা বৃষ্টির আশায় ছিলাম। সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে। সন্ধ্যায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির পর থেকে আবহাওয়া অনেকটা স্বস্তিদায়ক এখন। খুব ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
বিএল কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া তাসফিয়া বলেন, দীর্ঘদিন পরে বৃষ্টি হয়েছে। খুব ভালো লাগছে। বৃষ্টিতে প্রকৃতি শীতল করে দিয়েছে।খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ জানান, দাবদাহের পর খুলনায় বৃষ্টি হয়েছে। রাত ৯টা পর্যন্ত ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ৫ মে খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।