নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে ও লেভেল পড়ুয়া ছাত্র একেএম মনজিল হক হত্যা মামলায় সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি ও সৎ ভাই একেএম ইয়াসিন হকসহ ৬ জনের পক্ষে যুক্তিতর্ক অব্যাহত (চলমান) রয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, মনজিলের সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন, মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া, রবিউল ইসলাম সিয়াম ও সিমান্ত হোসেন তাকবীর। মাহফুজুল ইসলাম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে চলছে। আসামিদের মধ্যে ইয়াসিন ও সিয়াম কারাগারে এবং তাকবীর জামিনে আছেন। অপর তিন আসামি শুরু থেকে পলাতক।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে আসামিদের পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে তাদের আইনজীবী রেজাউল করিম। তবে এদিন তা শেষ না হওয়ায় আগামী ৪ জুন পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। ওই দিন সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। মামলাটিতে ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন মনজিল হক (২৮)। হত্যাকাণ্ডের পর চাচা ফারুক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।
পরবর্তীতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে উঠে আসে সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন ও সৎ ভাই একেএম ইয়াসিন হক (২৫) ও মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া (৫৮) হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা। সম্পত্তির লোভে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী ফারুক ও নিহত মনজিলের বাবা মইনুল হক মনা আপন ভাই। তারা এক সঙ্গে গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। শান্তিনগর বাজারের পেছনে মনার ছেলে মনজিল ও ইয়াসিন এবং ফারুকের ছেলে একেএম নেওয়াজের যৌথ নামে একটি ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু মনা ওই ফ্ল্যাটটি তার ছেলেদের দিয়ে দলিল করিয়ে বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে নিহতের বাবার সঙ্গে ফারুকের দ্বন্দ্ব ছিল। নিহতের বাবা মারা যাওয়ার পর সেই ক্ষোভ মনজিলের ওপর ছিল। ওই ক্ষোভ থেকেই মনজিলকে হত্যার পরিকল্পনায় ভাতিজা ইয়াসিনের সঙ্গে চাচা ফারুক মিয়াও যোগ দেন।তদন্ত শেষে, ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মো. শামসুদ্দিন।