নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হওয়ায় বিমানের ২৬ কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট

প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  

বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ বিমানের ২৬ কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার (১১ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুর রহমান এ চার্জশিট দাখিল করেন। তবে মামলার ঘটনা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় না পড়ায় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- বিমানের সাবেক ডিজিএম তাইজ ইবনে আনোয়ার, সিডিউলিং সুপারভাইজার মাহবুব আলম শরীফ, সিকিউরিটি গার্ড আইউব উদ্দিন, এমটি অপারেটর মহসিন আলী, মিজানুর রহমান, ফারুক হোসেন, নজরুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাসুদ, মো. মাহবুব আলী, এনামুল হক, মাহফুজুল আলম, ট্র্যাফিক হেলপার আল আমিন, আ. মালেক, আলমগীর হোসেন, গাড়িচালক আব্দুল্লাহ শেখ, সাজ্জাদুল ইসলাম, এমএলএসএস তাপস কুমার মণ্ডল, জাহিদ হাসান, হারুন অর রশিদ, সমাজু ওরফে সোবাহান, জাকির হোসেন, বিএফসিসি অপারেটর সুলতান হোসেন, মুরাদ শেখ ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ বেতারের গাড়ি চালক ফারুক হোসেন, জুয়েল মিয়া, রাজিব মোল্লা, অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন ও হেলপার জাবেদ হোসেন।

জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ অক্টোবর বিকেল ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০০ চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে তা স্থগিত করা হয়। পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে কিছুক্ষণ পর প্রার্থীরা কেন্দ্র থেকে চলে যান। অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ২০২২ অনুষ্ঠিতব্য ১০ পদের পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।

পদগুলো হলো- জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি-প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র মেকানিক জিএই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) ও জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল)।

প্রশ্নফাঁসের এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।তদন্ত শেষে গত বছরের ২২ জুন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী বাংলাদেশ বিমানের ডিজিএম মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ারসহ বিমানের ২৬ কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ মোট ৩০ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ১৮ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী এ মামলার চার্জশিট পর্যালোচনা সাপেক্ষে মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ মামলার চার্জশিট আমলে গ্রহণ না করে স্বপ্রণোদিত হয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।