আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চলতি বছরের মার্চে বিশ্বের প্রথম জীবন্ত মানুষ হিসেবে ৬২ বছর বয়সী রিচার্ড স্লায়ম্যানের দেহে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। তবে মাত্র দুই মাস পরই সেই মার্কিন নাগরিক রিচার্ড মারা গেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১১ মে) রিচার্ডের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েটস জেনারেল হাসপাতালে চার ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার দেহে শূকরের কিডনিটি প্রতিস্থাপন করেছিলেন একদল চিকিৎসক। এরপর দুই সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর তিনি বাড়িতে গিয়েছিলেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রিচার্ডের মৃত্যুর সঙ্গে কিডনি প্রতিস্থাপনের কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাননি তারা। তবে হঠাৎ করে কীভাবে তিনি মারা গেলেন সেটিও জানা যায়নি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ।
রিচার্ডের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ম্যাসাচুয়েটস জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, “স্ল্যায়ম্যানের আকস্মিক মৃত্যুতে প্রতিস্থাপন দল মর্মাহত। সম্প্রতি হওয়া কিডনি প্রতিস্থাপনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এমন কোনো ইঙ্গিত আমরা পাইনি।”
রিচার্ড স্ল্যায়ম্যান অনেক আগে থেকে কিডনি রোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ২০১৮ সালে তার দেহে মানুষেরই একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৫ বছর পর সেটি বিকল হওয়া শুরু করে। এরপর এ বছর প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে তার দেহে শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে রিচার্ড আবারও ডায়ালাইসিস করছিলেন। যা তার স্বাস্থ্যের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছিল।
শূকরের যে কিডনিটি রিচার্ডের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল সেটি আনা হয়েছিল ইজেনেসিসের কাছ থেকে। এটি ক্যামব্রিজভিত্তিক একটি ফার্মাসিউক্যাল কোম্পানি। কিডনিটি নেওয়া হয়েছিল সিআরআইএসপিআর প্রযুক্তির মাধ্যমে জিনগত পরিবর্তন করা একটি শূকর থেকে। ওই কিডনিতে শূকরের জিন ফেলে দিয়ে মানুষের জিন যুক্ত করা হয়েছিল।
রিচার্ডের পরিবার জানিয়েছে, তিনি শূকরের কিডনি স্থাপনে রাজি হয়েছিলেন, আরও যেসব মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করার জন্য।