লাইফস্টাইল ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাজারে এখন তরমুজ বেশ সহজলভ্য। এই রসালো ফল খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। তবে প্রতিদিন এই ফল খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, নাকি এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।তরমুজ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এতে আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। আর এই ফলে প্রচুর পরিমাণ পানি আছে, যা শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
শুধু তাই নয়, এতে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যারোটিনয়েডস, লাইকোপেন কিন্তু শরীরকে একাধিক জটিল অসুখ থেকে রক্ষা করে। জানলে অবাক হবেন, তরমুজের গুণে হার্ট, চোখসহ দেহের একাধিক অঙ্গেরও স্বাস্থ্য ফেরে।
তবে তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে?
এ বিষয়ে ভারতের কলকাতা শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ ড. অরিত্র খাঁ জানান, তরমুজ একটি লো ক্যালোরি ফুড। তাই এই ফল খেলে ওজন বাড়ার কোনো ঝুঁকি নেই। বরং নির্দিষ্ট পরিমাণ খেলে এই ফলের গুণে মেদ ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব।তবে অনেকেই তরমুজের রস করে খান। এমনকি এই রসের মধ্যে আলাদা করে চিনি মিশিয়েও পান করেন। ফলে এর ক্যালোরি বেড়ে যায়, যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে তরমুজে চিবিয়ে খান, রস না করে।
ডায়াবটিস রোগীরাও কি তরমুজ খেতে পারবেন?
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জানান, তরমুজ একটি মিষ্টি ফল হওয়ার কারণে অনেক ডায়াবেটিস রোগীই তা এড়িয়ে চলেন। তবে যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে, তারা অবশ্যই দৈনিক ৪-৫ টুকরো হলেও খেতে পারবেন।এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হলেও, তা ১০ এর নীচে। আর সেই কারণে এই ফল খেলে সুগার খুব একটা বাড়ে না। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো তরমুজ খেতে পারবেন।
দিনে কতটুকু তরমুজ খাবেন?
প্রতিদিন মোটামুটি ২০০ গ্রাম ফল খাওয়া যায়। তার মধ্যে ১০০-১৫০ গ্রাম তরমুজ খেলে তেমন একটা সমস্যা হবে না। তবে কিডনির অসুখ থাকলে এই ফল খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।