আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ
লোকসভা নির্বাচনে পঞ্চম দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল সাতটা থেকে। এ পর্যায়ের ৪৯ আসন ধরলে মোট ৪২৮ আসনে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।এরপর আরও দুটি দফায় ২৫ মে এবং আগামী ১ জুন মোট ১১৫ আসনে ভোট হবে। এই ৪৯ আসনের মধ্যে ২০১৯ সালে বিজেপি জিতেছিল ৩২ আসন। ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।
এ দফায় কেন্দ্রশাসিত লাদাখ ও জম্মু কাশ্মীর ছাড়াও ঝাড়খন্ডের ৩, উড়িষ্যার ৫, উত্তর প্রদেশের (ইউপি) ১৪, বিহারের ৫, মহারাষ্ট্রের ১৩, পশ্চিমবঙ্গের ৭টি আসনে ভোট হবে।এবার উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলিতে প্রার্থী হয়েছেন রাহুল গান্ধী। এই আসনটিতে গত ৫ মেয়াদে জয়ী হয়ে আসছে কংগ্রেস। তবে এখান থেকে প্রার্থী হতে রাহুলের মা কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী। এবারই মায়ের আসনে প্রার্থী হয়েছেন রাহুল। গতবার আমেঠিতে প্রার্থী হয়ে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর, এবার সেখান থেকে রাহুল প্রার্থী হননি বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া ইউপির রাজধানী লখনৌ থেকে তৃতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি নেতা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে রোহিনী আচার্য বিহারের হাজিপুরের সারান আসনে বিজেপির রাজীব প্রতাপ রুড্ডির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এর আগে গত ১৯ ও ২৬ এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় দফা এবং ৭ ও ১৩ মে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোট হয়। চার দফায় ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৬৬.১, ৬৬.৭, ৬১ ও ৬৭.৩ শতাংশ।
প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে ভারতের নির্বাচন নজরদারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) ও ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচের যৌথ জরিপে দেখা গেছে,পঞ্চম দফায় ভাগ্য নির্ধারণ হবে মোট ৬৯৫ প্রার্থীর। তাদের মধ্যে ১৫৯ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এদের ২৯ জনের বিরুদ্ধে নারীঘটিত বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে। একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে রয়েছে খুনের অভিযোগ, আটজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা এবং ১০ জনের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তিন প্রার্থী দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।