রাস্তা তৈরির পর ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেলে সেটি সঠিক নীতি হবে না
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
মোঃ সাইফুল ইসলামঃ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, যদি রাস্তা তৈরি করার পর ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায়, তাহলে সেটি সঠিক নীতি হবে না। তাই আমাদের টেকসই নির্মাণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। আগে দেড় বছরে এলজিইডির নির্মিত সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হতো। তাই আমি প্রকৌশলীদের সাথে বসেছি এবং অন্তত পাঁচ বছর রাস্তা টিকিয়ে রাখার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। রাস্তা নির্মাণের সময় যেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বুধবার (২২ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ‘রিজিলিয়েন্ট রুরাল ট্রান্সপোর্ট এসেট ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন উঠেছে, সড়ক ও অবকাঠামো কতটা টেকসই সেটি নিয়ে, কারণ আমরা একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। আমাদের জমি ও জলাভূমি… যা উন্নয়নে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই অবকাঠামোর জন্য এটি আমাদের চ্যালেঞ্জ। আমাদের অবকাঠামোগত খরচ ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। যেহেতু আমরা আমাদের রাস্তার অবকাঠামো পুনর্র্নিমাণ করতে যাচ্ছি, আমাদের প্রথমে মাটির শক্তি নিশ্চিত করতে হবে। এটি আমাদের অবকাঠামোগত খরচ বাড়ায়।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে কাজ করি। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে কর্মসূচি আছে, এগুলোতে তারা অংশগ্রহণ করে। তারা আমাদের লোন দেয়। ব্যাংক যেমন কাস্টমারকে লোন দেয়, বিশ্বব্যাংকও একটা ব্যাংক। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক, জাইকা অথবা যারা আছে সবাই লোন দেয়। তারা তখনই লোন দেয়, যখন দেখে এখানে টাকাটা দিলে আবার ফেরত আসবে। কারণ ব্যাংক যেমন কাস্টমারকে উদ্বুদ্ধ করে টাকা নেওয়ার জন্য… কারণ তার আয় তেমন আছে। ইন্টারনাল গভর্ন্যান্স সিস্টেম, অর্থনৈতিক ক্রমবর্ধমান ভালো আছে, সুতরাং সে তার ব্যাংকে টাকাটা ফেরত দিতে পারবে লাভসহ। তখন তারা তাদেরকে লোন দেয়।বাংলাদেশ এক সময় ঋণ পেত না জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, এখন আমাদের অফার থাকে। কিন্তু আমরা বুঝে শুনে নেই, যেটা আমাদের দেশের জন্য লাভজনক।