নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেছেন, বাজেটে বেকারদের কর্মসংস্থানে কথা বলা নেই। নতুন শিল্প কলকারখানার কথা নেই। আজকে শিক্ষিত বেকাররা বিদেশ চলে যাচ্ছেন। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে দুর্নীতিবাজদের আরও উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-৬ আসনের সাবেক ছাত্রদল নেতাদের আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে সালাম বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। তাহলেই দেশের সব সমস্যার সমাধান হবে। মুক্তি পাবে গণতন্ত্র, আর মানুষ ফিরে পাবে বাকস্বাধীনতা।
সাবেক এই ডেপুটি মেয়র বলেন, সব কালো বাজারিদের সাথে, দুর্নীতিবাজদের সাথে সিন্ডিকেট করে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাংকের গভর্নর কি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বেশি শক্তিশালী। আসলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশই গভর্নর পালন করেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে খালেদা জিয়ার তুলনা দেন। তার সাথে কারো তুলনা হয় না। খালেদা জিয়া কারো সাথে আপস করেন না। এরশাদের সাথে আপস করে নির্বাচনে কে গিয়েছিল, ১/১১তে কে ফখরুদ্দিন সরকারের সাথে আপস করেছিলেন? তখন যদি খালেদা জিয়া আপস করতেন তখনও আপনি (শেখ হাসিনা) নন, খালেদা জিয়াই আবার প্রধানমন্ত্রী হতেন। চলমান আন্দোলনেও অনেকবার আপসের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আপসহীন নেত্রী আপস করেননি। ৯৬ সালে তিনি নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, খালেদ জিয়া আপস করেছিলেন জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে। তিনি এখনো বন্দি। জেল-জুলুম বিএনপি ভয় পায় না। এসবে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক ছাত্রনেতা সাইদুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে সাবেক ছাত্রনেতা মুকিতুল আহসান রঞ্জুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন— বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ সম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।