রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রোববার তুর্কি নেতা রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মতবিরোধ সত্ত্বেও এরদোগান গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করেছেন।
ক্রেমলিন ওয়েবসাইটসূত্রে জানা যায়, পুতিন এরদোগানকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘এই নির্বাচনে আপনার বিজয়, তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনে আপনার একনিষ্ঠতার যৌক্তিক কর্মফল।’ খবর এএফপি’র।
পুতিন এরদোগানকে তার ‘প্রিয় বন্ধু’ অভিহিত করে বলেন, এই বিজয় ‘রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে সুসংহত এবং একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করায় তার প্রচেষ্টার প্রতি তুরস্কের জনগণের সমর্থনের স্পষ্ট প্রমাণ।’ দুই নেতা মধ্যপ্রাচ্য ও সাবেক সোভিয়েত ককেশাস অঞ্চলের দ্বন্দ্ব-সংঘাতে বিরোধী খেলোয়াড়দের সবসময় একই রকম সমর্থন না দিলেও, বিগত কয়েক বছর ধরে তারা নিজেদের মধ্যে শক্তিশালী একটা পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।
পর্যবেক্ষকরা এএফপিকে বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- পশ্চিমের অর্থনৈতিক, সামরিক ও রাজনৈতিক আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রে তারা একে অপরকে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে দেখেন।
পুতিন এরদোগানকে আরও বলেন, ‘রুশ-তুর্কি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে আপনার ব্যক্তিগত অবদানকে রাশিয়া অত্যন্ত মূল্য দেয়’ এবং ‘আমাদের গঠনমূলক সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির’ কথাও ব্যক্ত করে।
তুরস্ক মস্কোর জন্য সিরিয়ায় যুদ্ধ, ন্যাটোর সঙ্গে ক্রেমলিনের অচলাবস্থা এবং ইউক্রেনে বড় আকারের সামরিক আভিযানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। আঙ্কারা কিয়েভকে ড্রোন সরবরাহ করেছে, তবে সে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় যোগ দিতে অস্বীকার করেছে। আর একারণেই ব্যাপকভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত রুশ রপ্তানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প ট্রানজিট হাব হয়ে উঠেছে।
ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি পুনরায় শুরু করার চুক্তিতে সহায়তাসহ ইউক্রেন, পশ্চিম ও রাশিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতাও করেছে তুরস্ক।
পুতিন তুরস্কের প্রথম রুশ নির্মিত আক্কুয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন রুশ-তুর্কি প্রকল্পের “বিশাল তাৎপর্যের”ও প্রশংসা করেছেন।