সোলার সেচ পাম্প গ্রিড ইন্টিগ্রেশনে ব্যয় ১৫৫ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কৃষিকাজে পানি সেচের লক্ষ্যে দুই হাজার সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প গ্রিড ইন্টিগ্রেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭৬ টাকা। ‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প গ্রিড ইন্টিগ্রেশন সংক্রান্ত ক্রয়ের দুটি প্রস্তাব উপস্থান করা হয়। মন্ত্রিসভা কমিটি আলোচনার মাধ্যমে দুটি প্রস্তাবই অনুমোদন দিয়েছে।
এর মধ্যে একটি প্রস্তাবে, ‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় ৭০৫টি সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প গ্রিড ইন্টিগ্রেশন ক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্পের একটি প্যাকেজের আওতায় ৭০৫টি সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প গ্রিড ইন্টিগ্রেশন কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তিনটি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে সিলিকন এবং জেডটিটি, ঢাক-কে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪ কোটি ৬৪ লাখ ৪ হাজার ৭৪ টাকা। এই ব্যয়ের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
আরও এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ২৯৫টি সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প গ্রিড ইন্টিগ্রেশন ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

প্রস্তাবের আওতায় এক হাজার ২৯৫টি সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প গ্রিড ইন্টিগ্রেশন কার্য ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। তার মধ্যে তিনটি প্রস্তাব কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।

দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে মেসার্স ইসি এবং ডব্লিউআরইসিএল, ঢাকা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০০ কোটি ৫৯ লাখ ৪২ হাজার ৩১ টাকা।