ক্রীয়া ডেস্ক:
ফ্রান্সের সঙ্গে আর্জেন্টিনার দ্বৈরথটা এখন জমে উঠেছে। গত দুটি বিশ্বকাপে এই ফরাসিরা যেমন আকাশি-সাদাদের হতাশ করেছে, আবার ফ্রান্স-বাধা পেরিয়ে আর্জেন্টিনাও জিতেছে তৃতীয় সোনালি ট্রফিটা। এবার অলিম্পিকে সেই ফ্রান্সের মুখে পড়ল আর্জেন্টিনা। ছোটদের এই ফুটবল দ্বৈরথে স্বর্ণ জয়ের পথে ২ আগস্ট রাত ১টায় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে দু’দল। যেখানের জয়ীরা চলে যাবে সেমিতে।
অলিম্পিকে ফুটবলে আর্জেন্টিনার স্বর্ণ দুটি। আর ফ্রান্সের একটি। যার মধ্যে ২০০৪ সালে মার্সেলো বিয়েলসার আর্জেন্টিনা জিতেছিল স্বর্ণ পদক। যেটা তাদের প্রথম স্বর্ণ। সেবার প্যারাগুয়ে রৌপ্য আর ইতালি ব্রোঞ্জ পায়। আয়ালা-তেবেজদের সেই জামানা শেষে ২০০৮ সালের অলিম্পিকে দ্বিতীয় স্বর্ণ আসে আকাশি-সাদাদের। সেই আসরে মেসি-ডি মারিয়ারা ঝলক দেখান। যদিও ওই আসরে ব্রাজিল দারুণ ফুটবল খেলেছিল। কিন্তু তাদের ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আর নাইজেরিয়া হেরে যায় আর্জেন্টিনার কাছে।
ফ্রান্সের স্বর্ণ পদকটা এসেছিল ১৯৮৪ যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিকে। সেই আসরে ব্রাজিলকে হারিয়ে প্রথম স্বর্ণ জেতে তারা। এর পর আর অলিম্পিকে স্বর্ণ পদকের দেখা পায়নি দলটি। এবার তাদের দারুণ সুযোগ। কোয়ার্টারে আসার পথে তরুণ ফ্রান্স হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, গিনি আর নিউজিল্যান্ডকে। অর্থাৎ, গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে তিন জয়ে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়েই কোয়ার্টারের টিকিট নিশ্চিত করে ফরাসিরা। অন্যদিকে, প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খায় আর্জেন্টিনা। মরক্কোর সঙ্গে নাটকীয়ভাবে হেরে যাওয়ার পর ইরাক ও ইউক্রেনকে হারিয়ে পরের রাউন্ডের ছাড়পত্র পেয়ে যায়। এবার তাদের কঠিন পরীক্ষা। যদি ফ্রান্সের বাধা পেরোতে পারে, হয়তো অলিম্পিকের ফুটবল থেকে তৃতীয় স্বর্ণ পদকটাও পেয়ে যেতে পারে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আর্জেন্টিনার সম্ভাবনাও দারুণ। হ্যাভিয়ের মাচেরানোর দলটিতে বেশ কয়েকজন মেধাবী ফুটবলার রয়েছেন। যার মধ্যে আক্রমণভাগে চেনা মুখ হুলিয়ান আলভারেজ। ম্যানসিটিতে খেলা এবং কাতার বিশ্বকাপে নৈপুণ্য দেখানো এই ফরোয়ার্ডের দিকে তাকিয়ে থাকবে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। যদিও চলমান অলিম্পিকে এখনও সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। তার পাশাপাশি ক্লদিও এসেভেরি, থিয়াগো আলমাদাও থাকবেন সবার চোখে চোখে।