এনবিআর চেয়ারম্যানকে বহিষ্কারসহ ৯ দফা দাবি কর্মচারীদের

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২৪

সেলিনা আক্তার:

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ সহচর উল্লেখ করে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির আয়কর অনুবিভাগের ১০ম-২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা।

এনবিআর চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করে আয়কর, কাস্টমস এবং এক্সাইজ ও ভ্যাট ক্যাডার থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া, প্রশাসন ক্যাডার থেকে কোনো কর্মকর্তাকে প্রেষণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পদায়ন না করাসহ ৯ দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরা দাবিতে বলা হয়, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা বৈষম্যবিরোধী কর্মচারীরা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা, পরিশ্রম এবং সাধনা দিয়ে রাষ্ট্রের মূল কোষাগার তথা রাজস্ব ভাণ্ডারের রাজস্ব আদায়ে প্রাণান্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, স্বৈরাচারী শাসকের ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ও প্রথম সচিব (কর প্রশাসন) মো. শাহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সুবিধাবাদী এবং কার্যত স্বৈরাচারী কর্মকর্তারা বছরের পর বছর আমাদেরকে চরমমাত্রায় ভীতি প্রদর্শন করেন। নিয়োগে অনিয়ম, বদলি বাণিজ্য, পদায়ন বাণিজ্য, পদোন্নতি বাণিজ্যসহ অবসরকালীন সুবিধার মতো ক্ষেত্রগুলোতে স্বেচ্ছাচারিতার এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন তারা। নিজেদের ব্যক্তিগত হীন স্বার্থ বছরের পর বছর ধরে পরিপূর্ণ করে চলেছে। আমাদের কর্মচারীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে
গেছে।
অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, অবিলম্বে স্বৈরাচারী চেয়ারম্যানের দোসর এবং প্রিয়পাত্র প্রথম সচিব (কর প্রশাসন) মো. শাহিদুজ্জামানকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করে কর ক্যাডারের কর্মকর্তা পদায়ন করা। দুই বছর পর পর বদলি বাণিজ্য বন্ধ করে আয়কর আইন-২০২৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং আয়কর আদায়ের স্বার্থে অতীতের মতো রাজস্ববান্ধব এবং প্রযোজ্যতা স্বাপেক্ষে বদলি করা। অবৈধ নিয়োগ অবিলম্বে বন্ধ করা, আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ বন্ধ করা, কর্মচারীদের পদায়ন কর্মচারীদের জন্য প্রণীত জৈষ্ঠ্যতা বিধিমালা অনুযায়ী করা। আয়কর অনুবিভাগের ১০তম-২০তম গ্রেডের সব শূন্য পদে পদোন্নতি দেওয়া এবং সব পদ পদোন্নতিযোগ্য হতে হবে, কোনো পদ ব্লক না রাখা ইত্যাদি।
কর্মচারীরা জানান, তাদের ৯ দফা দাবি অবিলম্বে পূরণ করতে হবে। অন্যথায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সব বৈষম্যবিরোধী কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ, কর্মবিরতি, কলম বিরতি, প্রটোকল পালনে বিরত থাকা থেকে শুরু করে কঠিনতর কর্মসূচি দেওয়া হবে।