নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর কাওরানবাজারের ফুটপাতের এক চা দোকানি সাড়ে তিন মাস ধরে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছেন। তার নাম খোরশেদ আলম (৪০)। কাওরানবাজারের ওয়াসা ভবনের পেছনের ফুটপাতে তিনি চা দোকানি ছিলেন। তার বাড়ি চাঁদপুরের হাইমচর থানার ইশানবালা গ্রামে।
নিখোঁজ খোরশেদের সম্পর্কের বড় ভাই শাজাহান বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি খোরশেদ কাওরানবাজারের চা দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা দেন। এরপর থেকে সে আর ফিরে আসেনি। এভাবে এক সপ্তাহ সময় যাওয়ার পর তিনি খোরশেদের স্ত্রী হালেমা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে বলা হয় খোরশেদ বাড়ি নেই। এ কথা জানার পর তাদেরকে থানায় জিডি করার পরামর্শ দেই। খোরশেদের স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, নিখোঁজের খবর জানতে পেরে তার শ্বশুর আব্দুল কাদের চৌকদারসহ হাইমচর থানায় যান জিডি করতে। কিন্তু থানা তাদের জিডি নেয়নি। তারা বলেছে, ঢাকায় নিখোঁজ হলে সেখানকার থানায় জিডি করতে হবে। পরে খোরশেদের বড় ভাই শাজাহান জিডি করার জন্য তেজগাঁও থানায়
যান। এ ব্যাপারে শাজাহান বলেন, থানার ডিউটি অফিসারের কাছে জিডি করার কথা বলতেই তিনি খোরশেদ মোবাইল নম্বর নেন। ওই ডিউটি অফিসার খোরশেদের মোবাইল নম্বরটি ম্যাসেজ করে পাঠিয়ে দেন। প্রায় আধাঘন্টা পর ডিউটি অফিসারের মোবাইল ফোনে খোরশেদের কললিস্ট চলে আসে। ওই কললিস্ট যাচাই বাছাই করে ডিউটি অফিসার জানান যে, খোরশেদ ঢাকা থেকে গাবতলী বাস টার্মিনাল হয়ে রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ এবং যশোহর গিয়েছে। যশোহরের বেনাপোল থেকে সে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সর্বশেষ ঝিনাইদহ এলাকায় তার মোবাইল ফোনের উপস্থিতি ছি । এরপরই মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। ওই ডিউটি অফিসার তাকে ঝিনাইদহ সদর থানায় গিয়ে জিডি করার পরামর্শ দেয়। শাজাহান আরো বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ফুটপাতে চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালায়। একজন নিখোঁজের জিডি আমরা ঝিনাইদহে গিয়ে কিভাবে করব? এ ব্যাপারে তেজগাঁও থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, সাধারণত কেউ নিখোঁজ হলে থানায় জিডি হয়। কিন্তু নিখোঁজের আড়ালে অন্য কোনো বিষয় জড়িত থাকলে, সেটি তদন্ত করে আইনগত বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে ওই বিষয়ে মামলাও হতে পারে। কাওরানবাজার থেকে চা দোকানি যদি সত্যি সত্যি নিখোঁজ হয়ে যায়, তাহলে তার যেকেউ থানায় এসে জিডি করতে পারেন।