অন্তর্র্বতী সরকার নির্বাচন দিলে শেখ হাসিনা দেশে ফিরবে: জয়

প্রকাশিত: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট :

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও দেশে ফিরবেন বলে ফের নতুন বার্তা দিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
কয়েক সপ্তাহের মারাত্মক বিক্ষোভের পর হাসিনা পদত্যাগে বাধ্য হয়ে গত সোমবার (৫ আগস্ট) প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যান। এরপর নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) শপথ গ্রহণ করেছে। অন্তর্র্বতীকালীন এই সরকার দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করবে।
জয় দাবি করেন, অন্তর্র্বতী সরকার নির্বাচন আয়োজনে করলে দেশে ফিরবেন হাসিনা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স বলছে, হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আপাতত তিনি (হাসিনা) ভারতে আছেন। অন্তর্র্বতী সরকার যখনই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেবে তখনই তিনি বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।’
একদিন আগে জয় বলেছিলেন, যখন বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে তখনই তিনি (হাসিনা) ফিরে আসবেন। যদিও জয় এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, হাসিনা আর কখনোই দেশে ফিরবেন না। ৭৬ বছর বয়সী হাসিনা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

জয় বলেন, ‘আমার মা বর্তমান মেয়াদের পরে রাজনীতি থেকে অবসর নিতেন। আমার কখনোই কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না এবং আমি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশে গত কয়েকদিনের ঘটনাবলীর কারণে দলের স্বার্থে আমাকে সক্রিয় হতে হয়েছে এবং আমি সামনের সারিতে আছি।’

চাকরির কোটা নিয়ে কয়েক সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভে চার শতাধিক ব্যক্তি নিহতের পর গণঅভ্যুত্থানে গত সোমবার শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাকে আলটিমেটাম দেওয়ার পর তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। সেখান থেকে সম্ভবত যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিতে তিনি লন্ডনে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

তবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের যে অভিবাসন আইন রয়েছে; সেখানে কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করে এসে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় নেওয়ার বিধান নেই। এছাড়া কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।