ক্রীয়া ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে পাঠানো হলো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বাফুফে সিনিয়র সহসভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন আবদুস সালাম মুর্শেদী। শুধু এই পদই নয়, ফাইন্যান্স কমিটি এবং রেফারিজ কমিটির প্রধানের দায়িত্বও ছেড়ে দেন সাবেক এ ফুটবলার।
গত সপ্তাহে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অন্যান্য নেতাকর্মীর মতো আড়ালে চলে যান মুর্শেদীও। খুলনা-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৮ সাল থেকে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মুর্শেদীর পদত্যাগ নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় বাফুফে নির্বাচনের আগে তাঁর এই পদত্যাগকে কেউ কেউ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
যেহেতু অর্থ কমিটির দায়িত্বে ছিলেন, তাই ফেডারেশনের আর্থিক অনিয়মে তাঁর দায়টা দেখছেন অনেকে। ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে না পারায় গত ২৩ মে সালাম মুর্শেদীকে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। কারণ পদাধিকার বলে তাঁর সই ছাড়া কোনো বিল পাস হয় না। রেফারিদের পাওনা ঠিকমতো পরিশোধ করেনি ফেডারেশন। রেফারিজ কমিটির প্রধান হিসেবে এই দায়টাও এড়াতে পারেন না বলে মনে করছেন ফুটবল-সংশ্লিষ্টরা।
মুর্শেদী পদত্যাগেই দায় এড়াতে পারেন না বলে গতকাল সমকালকে বলেন সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক, ‘এটা নিয়ে ছাড় পাবেন না তিনি। পদত্যাগ করলেই হবে না। এটার হিসাবনিকাশ দিতে হবে। যদি কোনো অন্যায় করে থাকেন, যদি দুর্নীতি করে থাকেন, তার জন্য তাঁর শাস্তি অবশ্যই হবে এবং তাঁকে এটার জবাবদিহিতায় আনতে হবে।’
শেখ হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় শত সমালোচনার মধ্যেও চার মেয়াদে বাফুফে সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন সালাউদ্দিন। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে তাঁর নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা কঠিনই বলে মনে হচ্ছে। যেহেতু পুরো দেশের সংস্কারে নেমেছে তরুণ সমাজ, সেহেতু ফুটবল ফেডারেশনকেও রাজনৈতিকমুক্ত রাখতে চাইছেন তারা। সাবেক ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলামও মনে করছেন দেশের ফুটবলে সংস্কার প্রয়োজন, ‘দেশে যেভাবে সংস্কারের ছোঁয়া পড়েছে। ক্রীড়াঙ্গনেও জরুরি।’