ক্রীড়া ডেস্ক:
শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড মিটিং। নির্ধারিত সময় বিকেল তিনটায় সভাটি শুরু হয়।
সবার আগে বিসিবিতে হাজির হন সভাপতি ফারুক আহমেদ। এরপর একে একে উপস্থিত হন আকরাম খান, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম, ফাহিম সিনহা, খালেদ মাহমুদ সুজনরা।
গত ২১ আগস্ট জরুরি বোর্ড সভা ডেকেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর নতুন বোর্ড সভাপতি হিসেবে বিসিবির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ফারুক আহমেদ। সপ্তাহের ব্যবধানে আজ আরেকটি জরুরি বোর্ড মিটিংয়ে বসতে যাচ্ছে বিসিবি।
গুরুত্বপূর্ণ সভায় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিবির পরিচালক আকরাম খান জানান, সভায় অমিমাংসিত থাকা কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বোর্ড।
একটি হত্যাকাণ্ডের মামলার আইনি নোটিশের প্রেক্ষিতে জাতীয় দল থেকে সাকিবকে বহিষ্কারের আলোচনা সামনে এসেছে। এর আগে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, প্রথম টেস্টের পর সাকিবের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিসিবির বেশিরভাগ পরিচালক এখন আত্মগোপনে আছেন। বিসিবির বোর্ড সভার জন্য দরকার ৯ পরিচালক। ২৫ পরিচালকের বোর্ড সভায় অন্তত এক তৃতীয়াংশ পরিচালকের উপস্থিতির কথা উল্লেখ আছে বোর্ডের গঠনতন্ত্রে। তাই সর্বশেষ বোর্ড সভাতে কোরাম পূর্ণ হওয়া নিয়েও ছিল সংশয়। শেষমেশ কোরাম পূর্ণ হয় দুই নতুন পরিচালক ফারুক আহমেদ এবং নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কল্যাণে। নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড থেকে বোর্ড সভায় হাজির হয়েছিলেন কেবল ৮ পরিচালক।
ইসমাইল হায়দার মল্লিক, শফিউর রহমান নাদেল, নাইমুর রহমান দুর্জয় কিংবা নাজমুল পাপনের মতো অনেকেই ছিলেন না সভায়। জরুরি বোর্ড সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন আকরাম খান, সাইফুল আলম স্বপন, ফাহিম সিনহা, খালেদ মাহমুদ সুজন, সালাউদ্দিন চৌধুরি, ইফতেখার আহমেদ মিঠু, কাজী ইনাম ও মাহবুব আনাম। আগামী বৃহস্পতিবারের সভাতেও তারাই থাকতে পারেন।
এদিকে, সভাপতির পদ ছাড়লেও আবাহনী থেকে কাউন্সিলর থাকা পাপন নিজেও এখনো পরিচালক পদে আছেন। পরিচালক হিসেবে এখনো আছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আরও ১৫জন।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, টানা তিনটি বোর্ড সভায় যদি কোনো পরিচালক অনুপস্থিত থাকেন তাহলে তার পদ শূন্য হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বৃহস্পতিবারের সভার পরও তারা পরিচালক থেকে যাবেন। এরপরের সভাতেও তারা অনুপস্থিত থাকলে এই পদগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে শূন্য করা যাবে।