লাঞ্ছিত ও জোরপূর্বক পদত্যাগ, প্রতিবাদে ১১ দফা দাবি শিক্ষকদের

প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪

সাজ্জাদ হোসেন:

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, সারা দেশে শিক্ষক লাঞ্ছিত ও জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। একই সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিএর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছি।

শিক্ষকদের ১১ দফা দাবি
এ সময় শেখ কাওছার আহমেদ শিক্ষকদের পক্ষে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো, বৈষম্য দূর করতে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ’ করা; বিদ্যমান শিক্ষা কারিকুলামের পরিবর্তে যুগোপযোগী, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষা কারিকুলাম প্রবর্তন করা; সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিসা ভাতা দেওয়া; সরকারি স্কুলের মতো বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ষষ্ঠ গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকের ১০ম গ্রেডে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের উচ্চতর স্কেল প্রদান করা; এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি প্রথা চালু করা।

তিনি আরও দাবি করেন, সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো পেনশন প্রথা চালু করা; শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো ৬৫ বছরে উন্নীত করা; পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতো শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন করা; শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি সব বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এর দ্রুত বাস্তবায়ন করা; ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি প্রথা বিলুপ্ত করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো পরিচালনা করা ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির উপদেষ্টা বাবু রঞ্জিত কুমার সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন প্রমুখ।