ক্রীড়া ডেস্ক:
জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া নতুন মৌসুমে কোনো ক্লাব পাননি। জাতীয় দলের অধিনায়ক ক্লাব পাবে না, সেটা শুনতে বিব্রতকরই মনে হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কোন যোগ্যতায় জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলছেন জামাল। ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ৭০ মিনিটের পর মাঠে নেমেছিলেন জামাল। এখন ক্লাব না পেয়ে হতাশ জামাল। ফুটবলের দলবদল শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু জামাল কোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেননি।
গত মৌসুমে আবাহনীতে খেলেছিলেন। লিগের অর্ধেক সময়ে তিনি নাম লিখিয়ে ছিলেন। তার পরও সব ম্যাচও খেলতে পারেননি। বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছিল। এবার জামালকে নেওয়ার জন্য আবাহনী ৪৫ লাখ টাকা অফার করেছিল। জামালও রাজি ছিলেন। সব কিছু ঠিকঠাক, কিন্তু সরকার পতনের পর আবাহনীর ভঙ্গুর অবস্থায় তারা পারিশ্রমিক কমিয়ে নিতে অনুরোধ করে। ৪৫ লাখ টাকার পারিশ্রমিকের ৩০ পারসেন্ট কম নিতে অনুরোধ করা হলে জামাল রাজি হননি।
গত মৌসুমে আবাহনীতে খেলেছিলেন। লিগের অর্ধেক সময়ে তিনি নাম লিখিয়ে ছিলেন। তার পরও সব ম্যাচও খেলতে পারেননি। বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছিল। এবার জামালকে নেওয়ার জন্য আবাহনী ৪৫ লাখ টাকা অফার করেছিল। জামালও রাজি ছিলেন। সব কিছু ঠিকঠাক, কিন্তু সরকার পতনের পর আবাহনীর ভঙ্গুর অবস্থায় তারা পারিশ্রমিক কমিয়ে নিতে অনুরোধ করে। ৪৫ লাখ টাকার পারিশ্রমিকের ৩০ পারসেন্ট কম নিতে অনুরোধ করা হলে জামাল রাজি হননি।
জামাল নাকি আগেই ফর্মে স্বাক্ষর করে রেখেছিলেন। এখন জামাল বাফুফের কাছে সহায়তা চেয়েছেন। কী সহায়তা চেয়েছেন সেটাও নাকি পরিষ্কার না। আবাহনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নাকি অন্যকিছু। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানিয়েছেন, জামালের আবেদনটা দেখেছি। কিন্তু আমি নিজেও ক্লিয়ার না, সে কী চায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কমিটিতে পাঠিয়েছি। তারা দেখবেন।’
জামাল ভূঁইয়ার কাছে পারিশ্রমিকটা বড় ব্যাপার। ক্লাবের নামটা বড় ব্যাপার না। জার্সির রং কোনো বড় ব্যাপার না। যে বেশি পারিশ্রমিক দেবে সেখানেই খেলবেন তিনি। তা ছাড়া সব ক্লাব জামালের ব্যাপারে অনাগ্রহী নানা কারণে। শেখ রাসেলে খেলাকালীন চলে গিয়ে ছিলেন আর্জেন্টিনার সোল দ্য মায়ো ক্লাবে, সেখানে থেকে মাঝপথে আবাহনীতে যোগ দেন। এখন জামালের সামনে এমন এক পরিস্থিতি হয়েছে, যেটা কিনা তার জন্য জটিল। ক্যারিয়ার নিয়ে টানাটানি। দল না পেয়ে ঘরে বসে আছেন।
জামালের সামনে হাত বাড়িয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তারা নিতে চায়। কিন্তু জামাল যে জটিলতায় পেঁচিয়ে গেছেন, সেটা খুলে বেরিয়ে আসতে একটা পথ তৈরি করতে পারে বাফুফে-এমন বিশ্বাস ব্রাদার্সের। কিন্তু বাফুফে বলছে কোনো ভাবেই সম্ভব না। ইমরান হোসেন তুষার বলছেন, ‘প্রথম পর্বের লিগ শেষ হলে তখন সেটা সম্ভব। এর আগে না। তারপরও আমি বিষয়টি নির্ধারিত ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়েছি, দেখা যাক কী হয়।’
ব্রাদার্সের ফুটবল ম্যানেজার আমের খান নানা যুক্তি তুলে ধরছেন জামালের পক্ষে। তিনি বললেন, ‘ধরুন একজন ফুটবলার দুই ক্লাবের কাগজে স্বাক্ষর করেছেন। বাফুফে তার সমাধান করবে কীভাবে। ফুটবল ক্লাবে খেলোয়াড়দের নিয়ে অনেক রকম জটিলতা সৃষ্টি হয়। সেটা সমাধানের পথও খুলে দেয় এবং সমাধান দেয় প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি। ডিসিপ্লিনারি কমিটি। আমার কথা সেটা না, জামাল জাতীয় দলের ফুটবলার। সে এখনো খেলছে। তার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। চাইলে আমরা সবাই মিলে জামালকে সহযোগিতা করতে পারি। এজন্য একটা সমাধান বের করতে হবে।’
আমের খান বলেন, ‘জামাল যদি আবাহনীতে স্বাক্ষর করেও থাকেন তাকে লোনে আনা যায়। জটিলতা যেটাই হোক, সমাধানে এএফসির সঙ্গে কথা বলতে পারে বাফুফে। দরকার হয় আমরা ব্রাদার্সে নিয়ে নিব জামালকে। আমার সঙ্গে জামালের কথাও হয়েছে তাকে নেব। ব্রাদার্সে খেলবে। আর যদি কোনো কারণে না খেলতে পারে তাহলে ক্লাব অনুশীলনের মধ্যেই থাকবে। আমরা তাকে সেই ব্যবস্থা করে দিব। এখানে সবার সহযোগিতা দরকার।’