সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫

প্রকাশিত: ১২:৪০ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২৩

সিলেট প্রতিনিধি:

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারে বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে সর্বশেষ ১৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে মারা যান ১১ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিলে আরও ৪ জন প্রাণ হারান। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। বুধবার (৭ জুন) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুরে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৯ জনের নাম জানা গেছে।

তারা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হারিছ মিয়া (৫০), সৌরভ (২৫), সাধু মিয়া (৪০), তায়েফ নুর (৪৫), সাগর (১৮), রশিদ মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (৫৫), বাদশা মিয়া (৪৫), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়াহিদ আলী (৪০)।

হাসপাতালে হতাহত শ্রমিকদের স্বজনদের আহাজারি।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট নগর থেকে পিকআপে (সিলেট-নং ১১-১৬৪৭) চড়ে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।

হাসপাতালে হতাহত শ্রমিকদের স্বজনদের আহাজারি।

ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে তাদের পিকআপ পৌঁছলে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালুবাহী ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-০৭৮০) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান।

হাসপাতালে হতাহত শ্রমিকদের স্বজনদের আহাজারি।

খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। হাসপাতালে আনার পর আরো চারজন মারা যান।
ঘটনাস্থলে ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর নাজিরবাজারের দুদিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে পুলিশের তৎপরতায় তিন ঘণ্টা পর সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস ১৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে কর্তব্যরত মেহেদী হাসান কিছুক্ষণ আগে আরেকজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।