ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার চরফ্যাসনে বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীর থেকে জিও ব্যাগের সঙ্গে আটকে থাকায় অবস্থায় বুধবার উদ্ধার হয় অজ্ঞাতপরিচয়ে তরুণীর মরদেহ। সন্ধ্যায় পরিচয় শনাক্ত হয়। সে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের বেলায়েত চকিদারের মোড় এলাকায় জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে জোসনা বেগম (১৭)।
পরিবারের দাবি, ঢাকা থেকে চরফ্যাসনে ফেরার পথে লঞ্চ থেকে নদীতে ফেলে তাকে হত্যা করেছে প্রেমিক মানিক নামের এক যুবক। তবে ওই যুবকের পরিচয় জানে না পরিবারের কেউ।
নিহত তরুণীর মা কুলসুম বেগম জানান, সবার অগোচরে মেয়ে জোসনা মোবাইল ফোনে মানিক নামের এক ছেলের সঙ্গে কথা বলত। মোবাইল ফোনে পরিচয়ে সূত্রধরে সাত দিন আগে মানিকের সঙ্গে বাড়ি ছাড়ে জোসনা। তার সঙ্গে চলে যায় ঢাকায়। পরে ফোন করে জোসনা জানায়, সে মানিকের সঙ্গে ঢাকায় আছে। গত কয়েকদিন মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। পরে গত মঙ্গলবার বিকেলে জোসনা কল করে জানায়, মানিককে নিয়ে সে বাড়িতে দেশে ফিরছে। তার দুই হাজার টাকা প্রয়োজন। বিকেলে তাকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়।
কুলসুম বেগম বলেন, দুপুর হয়ে গেলেও মেয়ে সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। সারাদিন মেয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। বুধবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে
জোসনার ছবি দেখে স্থানীয় এক যুবক আমাদের জানান, চরফ্যাসন থানায় যেতে। সেখানে গিয়ে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করি।
চরফ্যাসন থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, সকালে স্থানীয়দের খবর পেয়ে মেঘনা নদীর তীর থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহটি ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় ওই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করে তার পরিবার। পরিবারের দেওয়া তথ্য মতে, মানিকের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।