অবসরে গেলেন এসবিপ্রধান শাহ আলম

প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মো. শাহ আলমকে অবসর দিয়েছে সরকার।
গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপ-সচিব আবু সাঈদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে অবসর দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি (গ্রেড-২) মো. শাহ আলমকে ২ অক্টোবর তারিখে বয়স ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ৪৩(১) (ক) অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
এর আগে ১৩ আগস্ট এসবিপ্রধান হিসেবে মো. শাহ আলমকে দায়িত্ব দেয় সরকার। তার আগে তিনি রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শাহ আলম ২০ জানুয়ারি ১৯৯১ সালে ১২তম বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। পুলিশে কম্পিউটার প্রযুক্তি প্রয়োগে তার ব্যাপক অবদানের জন্য বহুল আলোচিত ও প্রশংসিত হন তিনি। ২০০৯-১১ সালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (আইসিটি) ও ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার পদে কর্মরত থাকাকালীন তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সব থানা, কোর্ট ও অন্য ইউনিটে ব্যবহারের জন্য ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা সিডিএমএস সফটওয়্যার নির্মাণ করেন, যা দেশের সব থানায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
শাহ আলম ১৯৯৯-২০০২ সালে স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও জেলার বিশেষ শাখাগুলোর জন্য ‘থার্ড আই’ নির্মাণ করেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর স্পেশাল ব্রাঞ্চে থাকাকালীন তিনি ইমিগ্রেশন পুলিশসহ স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিভিন্ন শাখায় কম্পিউটার প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে একটি শতভাগ কাগুজে অফিসকে আইটিভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থায় পরিবর্তিত করেন।
তার ব্যবহৃত সফটওয়্যার ‘থার্ড-আই’ দিয়ে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অটোমেশন চালু আছে। ২০০৩ সালে ইমিগ্রেশনের পুলিশ সুপার থাকাকালীন তিনি দেশি-বিদেশি যাত্রীদের গমনাগমনের রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য ওরাকলভিত্তিক এপ্লিকেশন সফটওয়্যার ‘ফোরট্র্যাক’ নির্মাণ করেন। বাংলাদেশের সকল বিমান, নৌ ও স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে ‘ফোরট্র্যাক’ ব্যবহৃত হচ্ছে। পুলিশের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক রেকর্ড সংরক্ষণের জন্য তিনি ২০১২ সালে পুলিশ ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা পিআইএমএস তৈরি করেন।

কর্মদক্ষতা, সততা ও প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সেবা পদকে ভূষিত হয়েছেন।