অস্ত্রের মুখে অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর মুক্তি পেলেন ব্যবসায়ী

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২৪

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের রাউজানে পুলিশের তৎপরতায় অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর মুক্তি পেয়েছেন আব্দুর রহিম (৩৫) নামের নামের এক ব্যবসায়ী।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার জলিল নগর বাসস্ট্যান্ডে এনে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দেয়। এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ঊনসত্তর পাড়া আবাসিক এলাকা থেকে অপহৃত হন তিনি।
ভুক্তভোগী আব্দুর রহিম ইত্তেফাককে বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঊনসত্তর পাড়া আবাসিক এলাকা থেকে পাহাড়তলী চৌহমুনিস্থ আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য মোটরসাইকেল যোগে রওনা হই। পথে আবাসিকের মুখে পৌঁছালে ৩টি মোটরসাইকেল যোগে আসা ৭ জনের একটি দল আমার গতিরোধ করে। তারা আমার একটি ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে কিনা। আমি ওটাকে আমার ছবি বলার সঙ্গে সঙ্গে তারা আমার মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে নেয়। এ সময় আমার দিকে অস্ত্র তাক করে মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে নিয়ে যায়। তারা প্রথমে আমাকে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গিরিছায়া রেস্টুরেন্টের উপরে রাবার বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমাকে বলে ‘তুই ছাত্রলীগ করিস’। তখন দুটি অস্ত্র আমার হাতে দিয়ে ছবি তুলেন। এ সময় তারা আমার কাছে থাকা ব্যবসায়ের মাল কেনার ১ লাখ ৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

তিনি আরও বলেন, বিকাল ৪টার দিকে অপহরণকারীরা আমাকে ডাবুয়ার গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে আরও দুইজন এসে যোগ দেয়। তারা বলেন ‘তোর জন্য প্রশাসন হতে ফোন এসেছে। তাই তোকে ছেড়ে দিতে হবে। তোর টাকা গুলোও ফেরত দিব’। পরে তারা আমাকে জলিল নগর বাস স্ট্যান্ডে এনে ছেড়ে দেয়।
জানা গেছে, অপহৃত ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তর হওলা ইউনিয়নের শহীদুল ইসলামের ছেলে। পাহাড়তলী চৌমুহনী বাজারে মেসার্স আর.এস. মেটাল এন্ড ফার্নিচার গ্যালারী নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।

ঘটনাস্থলে আসা পুলিশের এস,আই শিমুল চন্দ্র দাশ বলেন, আমাদের তৎপরতায় অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দিয়েছে। ঘটনাস্থলের ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। অপরাধীদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে রাউজান থানার ওসি মীর মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।