শেরপুর প্রতিনিধি:
টানা বৃষ্টি এবং ভারত থেকে আসা ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় শেরপুরের দেড়লাখ কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। পানিতে নিমজ্জিত ৫০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ও এক হাজার হেক্টর জমির সবজিক্ষেত। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে নারীসহ সাতজনের।
নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নতুন করে সদর ও নকলা উপজেলার চার ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে দুই হাজারেরও বেশি পুকুর ও মৎস্য খামার। এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেবেন তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চাষিদের।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, পানি পুরোপুরি নেমে গেলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের পানি কিছুটা নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলের অন্তত দুইশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন আবাদ, মাছের ঘের ও সবজিক্ষেত। পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলায় বৃদ্ধ ও নারীসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলাসহ জেলার অন্তত ৪৭ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক হাজার হেক্টর জমির সবজিক্ষেত। তলিয়ে গেছে দুই হাজারেরও বেশি মাছের ঘের। এতে মাথায় হাত পড়েছে আমন ও মৎস্যচাষিদের। সব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার অন্তত দেড় লাখ কৃষক।
শেরপুর খামারবাড়ীর উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, পাহাড়ি ঢলে তিন উপজেলার আমন ধান ও সবজি আবাদ নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমবেশি নির্ভর করবে পানি নেমে যাওয়ার ওপর। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।