নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্দোলন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজধানীর বিভিন্ন থানা। পুড়িয়ে দেয়া হয় যানবাহন। ফলে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজ।
ফলে পুলিশি কাজে গতিশীলতা ফেরাতে ৫০টি গাড়ি যুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার (লজিস্টিকস) হাসান মোহাম্মদ শওকত আলী।
বুধবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে আয়োজিত থানার সক্ষমতা বাড়াতে নতুন গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন তিনি। এসময় নতুন ১০টি গাড়ি হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় হাসান মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, আপনারা সকলেই অবগত আছেন, পুলিশি কাজে যানবাহন একটি অন্যতম উপকরণ। অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের যানবাহন একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্র। এটিকে সামনে রেখেই পুলিশ কমিশনার আমাদের গাড়ির বহরে আরও ৫০টি গাড়ি যুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এই ৫০টি গাড়ির অংশ হিসেবে আজকে আমাদের গাড়ির বহরে ১০টি গাড়ি যুক্ত করব। পর্যায়ক্রমে আরও ৪০টি গাড়ি যোগ হবে। এই গাড়িগুলো আমাদের যে ৫০টি থানা রয়েছে সেই থানাগুলোতে বিতরণ করব। অপরাধ দমন এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব গাড়িগুলো ব্যবহৃত হবে। প্রাথমিকভাবে এই ১০টি গাড়ি আমরা যেসব থানায় হস্তান্তর করবো সেগুলো হচ্ছে, উত্তরা পূর্ব থানা, গুলশান, তেজগাঁও, কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, কামরাঙ্গীরচর, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মতিঝিল এবং নিউ মার্কেট থানা। প্রাথমিকভাবে এই দশটি গাড়ি এই থানা গুলোতে বিতরণ করা হবে। আমরা আশা করছি এই গাড়িগুলো যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থানার কর্মকাণ্ড আরও গতিশীলতা বৃদ্ধি করবে এবং অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখবে।
আন্দোলনের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ২২টি থানা ও ১৮৬টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭টি গাড়ি পুড়ে গেছে যেগুলো আর কখনো ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। আমরা প্রাথমিকভাবে হিসাব করেছি আমাদের প্রায় ৯ কোটি লজিস্টিক সাপোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেসব লজিস্টিক রিফিল করার মতো সেসব লজিস্টিক আমরা এরইমধ্যে রিফিল করে ফেলেছি। পর্যায়ক্রমে যেসব থানার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ঠিক রয়েছে, সেসব থানায় আমরা এসব প্রেরণ করছি। এখন সবগুলো থানাই সচল আছে।