ডেস্ক রিপোর্ট:
ধর্মীয় আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে আটকে জেরা করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ- এমন একটি সংবাদ শুক্রবার দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- মালয়েশিয়ার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তাঁর নামে অভিযোগ থাকায় তাঁকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকেও এর বেশি কিছু জানানো হয়নি। এ কারণে কি ঘটেছিল সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে এবার নিজেই মুখ খুলেছেন মিজানুর রহমান আজহারী।
শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন পয়েন্টে ভেরিফিকেশনে একটু সময় নিয়েছিল। আমি ঠিক আছি। অযথা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।’
শুক্রবার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দিন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছলে জেরার মুখে পড়েন তিনি। পুলিশ আলাদা কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে মিজানুর রহমান আজহারীকে।
সূত্র বলছে, মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মালয়েশিয়ার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তাঁর নামে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি অভিযোগ ছিল। বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে আজহারির বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগটি এখনও দেশটির ইমিগ্রেশন সার্ভারে রয়ে গেছে। ইমিগ্রেশন থেকে দূতাবাসে যোগাযোগ করলে কোনো সাড়া না পাওয়ায় তাকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান আজহারীর ব্যক্তিগত সহকারী মুরাদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে আলাদা কক্ষে নিয়ে মিজানুর রহমান আজহারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে আটকের বিষয়টি সত্য নয়।
এর আগে শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেশত্যাগের কথা জানান তিনি। আজহারিকে বহনকারী বিমান মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কুয়ালালামপুরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর তাঁকে বিমানবন্দরের ওয়েটিং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে, শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি দিয়েছিলেন তিনি। তাতে লিখেছেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশির ভাগ সময় পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্খীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম। তিনি লেখেন, ‘দেশে খুব লম্বা সময় অবস্থান না করলেও শিগগিরই ফিরব।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাসখানেক পর আবারও দেশে ফিরবো ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটিসহ সবকিছু অনুকূল হলে পুরো দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়তো কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির উপর।
প্রসঙ্গত, চার বছর পর দেশে ফিরেছেন মিজানুর রহমান আজহারী। ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সালামাতে প্রিয় মাতৃভূমিতে এসে পৌঁছালাম।’
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পারিপার্শ্বিক কিছু কারণ দেখিয়ে মিজানুর রহমান আজহারী মালয়েশিয়া চলে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন।