ডেক্স রিপোর্ট: ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকেই কমতে শুরু করে পেঁয়াজের ঝাঁজ। যেই ধারা অব্যাহত আছে। কমতে শুরু করেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। কমেছে মসলাপণ্য আদা-রসুনসহ বিভিন্ন শাক-সবজির দামও। তবে আবারও বাড়তে শুরু করেছেন ব্রয়লার মুরগির দাম।
আজ শুক্রবার (৯ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
পেঁয়াজের বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা।
পেঁয়াজের দাম কমা নিয়ে বিক্রেতারা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হওয়ায় দাম কমছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমবে।
ক্রেতারা মনে করেন, দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে পেঁয়াজের বাজারে। তবে দাম আরও কমানো উচিত। সরকার আরও আগে আমদানির সিদ্ধান্ত নিলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না।
বাজারে কমতে শুরু করেছে আদা ও রসুনের দামও। গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি আদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে তা নেমে এসেছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। এতে আগের সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করেছে।
তবে আবারও বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহেও যা ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। এছাড়া সোনালি ২৫০ থেকে ৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা।
ব্রয়লারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমে সরবরাহ কমেছে। পাশাপাশি বেড়েছে খাবারের দাম। পাইকারি পর্যায়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বিধায় বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর এখনো বাড়েনি গরু ও খাসির দাম। এছাড়া বাজারে প্রতি ডজন সাদা ডিম ১৩০ টাকা ও লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
মসলার বাজার স্থিতিশীল হলেও ঈদের আগে দাম বাড়ার আশঙ্কা ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলেন, ঈদ উপলক্ষে এখন থেকেই মসলার দাম বাড়াতে শুরু করেছে দোকানিরা। আর বিক্রেতারা জানান, জিরা ছাড়া এখনো বাড়েনি অন্যান্য মসলার দাম।
স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারেও। সবধরনের সবজির দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। কেজিপ্রতি ঢেঁড়স এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। টমেটো ৮০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা ও শষা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া আলু ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা ও ধনেপাতা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে মুরগির মতোই কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজার। বাজারে আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া প্রতি কেজি রুই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৩৮০ থেকে ৪৩০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও আইড় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।