কলকাতার এক ফার্মেসিতে দেখা গেল পলাতক সাবেক এমপি কামারুলকে!

প্রকাশিত: ৩:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২৪

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যান।
এরপর তাকে কলকাতার মারকুইস স্ট্রিটের একটি ফার্মেসি দেখা গেছে। গতকাল রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত থেকে এমন একটি ভিডিও ও বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

রোববার সেজান মাহমুদ নামে কুষ্টিয়ার স্থানীয় এক যুবক বেশ কিছু ছবিসহ ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে লিখেন, ‘কুষ্টিয়া ২ আসনের সাবেক আওয়ামী লীগের এমপি কামারুল আরেফিন (ফাটাকেস্ট)। কলকাতায় আমার হোটেলের সামনে একটি ওষুধের দোকানে দেখা হলে আমি যখন ভিডিও করতেছিলাম বুঝতে পেরে ওই এলাকা দ্রুত ত্যাগ করে। বেচারাকে খুব অসহায় মনে হইতেছিল। একসময়ের খুব প্রভাবশালী নেতা যে হাসানুল হক ইনুকে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে হারিয়েছে।’

এদিকে তার দেশত্যাগের বিষয়টিতে ক্ষোভ জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা বলছেন, সরকার পতনের পর কামারুল আরেফিন দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে তার কয়েকজন সহযোগীসহ ভারতে পালিয়ে যান। তারা পালিয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। হত্যা, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজী, দখলদারি, চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে ও তার সহযোগীদের দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক এমপি কামারুল আরেফিন অনিয়ম দুর্নীতির ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। দেশ-বিদেশে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তিনি কুষ্টিয়ায় টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নদীর জায়গায় মাছ চাষ ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতেন। অসংখ্য মানুষকে নির্যাতন-নিপীড়ন করেছেন সন্ত্রাসী বাহিনীর এই গডফাদার। আমরা তাদের বিচার চাই। তাদের সকল অপরাধ সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তাদের অত্যাচারে অসংখ্য মানুষ ঘরছাড়া, অনেক মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবরে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষুব্ধ জনতার ঢল নামে। আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে। এ সময় দুর্বৃত্তরা কুষ্টিয়া মডেল থানা, শহরের পিটিআই রোডের হানিফে বাড়ি, হানিফ ভাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার বাড়ি ও মিরপুর ভেড়ামারার সাবেক এমপি কামারুল আরেফিনের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এছাড়া জেলা ও থানা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যালয়, বিভিন্ন নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর লুটপাট করা হয়।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগের খবরে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষুব্ধ জনতার ঢল নামে। আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে। এ সময় দুর্বৃত্তরা কুষ্টিয়া মডেল থানা, শহরের পিটিআই রোডের হানিফে বাড়ি, হানিফ ভাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতার বাড়ি ও মিরপুর ভেড়ামারার সাবেক এমপি কামারুল আরেফিনের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এছাড়া জেলা ও থানা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যালয়, বিভিন্ন নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর লুটপাট করা হয়।