ক্রীড়া ডেস্ক:
আজ (মঙ্গলবার) বাফুফে নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার দ্বিতীয় ও শেষ দিন। সকাল থেকেই সংগঠক এবং সাবেক ফুটবলারদের পদচারণায় মুখরিত বাফুফে প্রাঙ্গণ। সভাপতি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে তার ভাই তাজওয়ার আউয়াল মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। ঐ সময় সহ-সভাপতি প্রার্থী যশোরের শামসুল হুদা একাডেমির নাসের শাহরিয়ার জাহেদীও ছিলেন।
বাফুফে ভবনে মনোনয়ন জনা সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাবিথের ভাই তাজওয়ার মিডিয়ার মুখোমুখি হন। তিনি প্রথমেই বলেন, ‘তাবিথ ভাইয়ের পক্ষে আমি ফরম জমা দিলাম। আপনাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে সরাসরি তাকেই নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্ন করতে পারেন।’
তাবিথ আউয়ালের ছোট ভাই তাজওয়ার আউয়াল নিজেও বাফুফে নির্বাচনের কাউন্সিলর। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি গতবার নোফেলের কাউন্সিলর ছিলাম। এবার আরামবাগ থেকে হয়েছি। গতবার প্রার্থীদের কোনো প্রশ্ন করিনি। এবার যারা ফোন করছেন তাদের সবাইকে একটা প্রশ্ন করছি আপনি ফুটবলে কি করতে চান। আমার মুল্যবান ভোট দেব কিন্তু সেই প্রার্থীর কী পরিকল্পনা জানা দরকার।’
নির্বাচনের আগে তাজওয়ার আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সভাপতি হয়েছেন। তার ভাই তাবিথ এই ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। সেই ক্লাব সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাসিনো কান্ড, ফিক্সিং কান্ডে ফিফা থেকে শাস্তি পেয়েছে আরামবাগ। এই নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক ভাবমূর্তি ফেরানোর তাগিদ নতুন ক্লাব সভাপতির, ‘আরামবাগের ফুটবলে ঐতিহ্য রয়েছে সেটাই ফেরানো চেষ্টা করব। বাফুফে নির্বাচন শেষে আবার আমরা বসব।’
বাফুফে নির্বাচনে সহ-সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ফুটবল অনুরাগী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। তিনি আজ মনোনয়ন জমা দিয়ে বলেন, ‘আমি এবার বাফুফে নির্বাচনে সহ-সভাপতি প্রার্থী হয়েছি সবাই দোয়া করবেন।’
বাফুফে নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে মনোনয়ন নিয়েছেন সাবেক তারকা ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক, ছাইদ হাসান কানন, রুপু, সাব্বিরে মতো ফুটবলার। সাবেক ফুটবলারদের পাশাপাশি রয়েছেন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ব্যক্তিত্বও। এর মধ্যেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী জাহেদী, ‘যারা নির্বাচনে আসে সবাই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী থাকে। যারা নির্বাচনে বিজয়ী হবেন তারা বিজিতদেরও সম্পৃক্ত রাখবেন আশা করি। কারণ নির্বাচনে যারা এসেছেন তাদের সেই আগ্রহকে সম্মান দেখানো উচিত।’
জাহেদী যশোরের শামসুল হুদা একাডেমি করেছেন। ঐ একাডেমি থেকে অনেক ফুটবলার জাতীয় দলেও খেলছেন। শামসুল হুদা একাডেমির অভিজ্ঞতা ফেডারেশনে এসে কাজে লাগাতে চান, ‘ফুটবল উন্নয়নে একাডেমির বিকল্প নেই। প্রতি জেলায় একটি একাডেমি ও একটি মাঠ থাকা আবশ্যক। ফেডারেশনে জয়ী হয়ে আসলে একাডেমি নিয়ে অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারব।’