খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পন্থায় বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তা কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। ছাত্র-জনতার অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম মনা বলেন, আমাদের সন্তানেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বিজয় এনে দিয়েছে। সে বিজয়কে নস্যাৎ করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পতিত প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। তার দোসরদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। বিএনপি সংখ্যালঘুতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি বিশ্বাস করে আমরা সবাই বাংলাদেশি। বিগত ১৭ বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা এত সুন্দর শৃঙ্খলভাবে পূজা উদযাপন করতে পারেনি, যা এ বছর করতে পেরেছে। পতিত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আর তার দোসররা আমাদের আশপাশেই রয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন। ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম জোয়ার্দার জলির সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা আশরাফুল আলম নান্নুর পরিচালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কে এম হুমায়ুন কবীর।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন— যুগ্ম আহ্বায়ক রেহানা ঈসা, অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, থানার সদস্যসচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আলী আক্কাস, অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সত্য গোপাল ঘোষ, কাজী রাহাত, সোহরাব হোসেন, কিসমত হোসেন, বাবুল, বেলাল হোসেন, সোহাগ, হেলাল হোসেন, শুভ মুন্সি সাইফুল, কামরুল ইসলাম, সোহেল খান, শামীম, আব্দুল জলিল, হাসান, রাজিব হাওলাদার, সুমন প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে শফিকুল ইসলাম জোয়ার্দার জলি সভাপতি, মোস্তফা আলম সহ-সভাপতি, তরিকুল ইসলাম সোহান সহ-সভাপতি, নাজমুস সাকিব সাধারণ সম্পাদক, মাহবুবুর রহমান লিটু যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সৈয়দ আজাদ হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।