অবৈধভাবে ইলিশ শিকার করায় পটুয়াখালীর অর্ধশত জেলে কারাগারে

প্রকাশিত: ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৪

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় জেলা প্রশাসন, জেলা মৎস্য অফিস, কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযান চলাকালীন ২০ হাজার মিটার জাল ও ১০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে পায়রা নদীর লেবুখালী অংশে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান শেষে জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা এবং মাছগুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ মাইনুল হাসান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত আরা জামান উর্মি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহীন মাহমুদ, সদ্র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান। এছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা মৎস্য অফিস জানায়, এ পর্যন্ত জেলায় সারে ৩ লাখ মিটার জাল ও ১৮শ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং অর্ধশত জেলেকে হাজতে পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে অন্যান্য জেলার মতো পটুয়াখালীতেও তা কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। এই কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে আমাদের প্রশাসন দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন বিপুল পরিমাণ জাল আটক করা হয়েছে, প্রায় অর্ধশত জেলেকে হাজতে পাঠানো হয়েছে, নৌযান আটক করা হয়েছে। এই অভিযান আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আরও জোরালোভাবে অব্যাহত থাকবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, অবরোধ চলাকালীন আমরা সবাই নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি। আমাদের জেলায় ৭৯ হাজার জেলে রয়েছে। যাদের মধ্যে সামান্য কিছু সংখ্যক জেলে আইন অমান্য করে মাছ শিকার করছে। তাদেরকে আমরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। জেলার প্রায় ৬৫ হাজার নিবন্ধিত জেলেদের জন্য ভিজিএফ এর চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। আশা করছি আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আমরা সব চাল বিতরণ সম্পন্ন করতে পারব।