অর্থনৈতিক সংকটে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কা, ১০ মাসে মূল্যস্ফীতি কমলো ১০ গুণ

প্রকাশিত: ৯:৪৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২৩

অর্থনৈতিক সংকটে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কা, ১০ মাসে মূল্যস্ফীতি কমলো ১০ গুণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা একটু একটু করে কাটিয়ে উঠছে শ্রীলঙ্কা। আর তার সুফল পেতে শুরু করেছে দেশটির জনগণ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে গত জুলাইয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে মূল্যস্ফীতির হার নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে।
তারচেয়েও চমকপ্রদ তথ্য হলো, গত সেপ্টেম্বরে যখন শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট চরমে, তখন মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছিল রেকর্ড ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশে। কিন্তু পরের ১০ মাসে সেই মূল্যস্ফীতি ১০ গুণেরও বেশি কমিয়ে এনেছে লঙ্কান সরকার।

NewsPostbd  

সাধারণত অর্থনীতিবিদরা আগের বছর বা মাস অথবা কোনো নির্দিষ্ট সময়কালের সঙ্গে বর্তমানের তুলনা করে খাদ্য, কাপড়, পোশাক, বাড়ি, সেবা প্রভৃতি উপাদানগুলোর দাম বৃদ্ধির যে পার্থক্য যাচাই করেন, সেটাই মূল্যস্ফীতি।

গত সোমবার এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার আদমশুমারি ও পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে কলম্বো ভোক্তা মূল্য সূচকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অথচ এক মাস আগে অর্থাত্ এ বছরের জুনে তা ছিল ১২ শতাংশ। এর অর্থ দাঁড়ায় এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় অর্ধেক। বিগত দুই বছরের মধ্যে দেশটিতে এই প্রথমবার মূল্যস্ফীতির হার এক অংকে নামলো।

দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে সবশেষ এক অংকের মূল্যস্ফীতি (৫ দশমিক ৮ শতাংশ) রেকর্ড করা হয়েছিল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এরপর থেকেই শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতি ক্রমাগত বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তা রেকর্ড ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছায়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতি কমাতে ভূমিকা রেখেছে মূলত খাদ্যপণ্যের দাম কমানো। গত ১২ মাসে দেশটিতে খাদ্যমূল্য কমেছে অন্তত ১ দশমিক ৪ শতাংশ।

অর্থনৈতিক সংকটে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কা, ১০ মাসে মূল্যস্ফীতি কমলো ১০ গুণ

২০২২ সালের এপ্রিলে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। সেসময় নজিরবিহীন বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের জরুরি পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয় এবং দাম বেড়ে যায়। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২৯০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার পর আমদানির বিধিনিষেধ ফের শিথিল করে লঙ্কান সরকার।

এছাড়া বিদ্যুতের ঘাটতি দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে পরিস্থিতির অভাবনীয় উন্নতি হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে লঙ্কান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল ওয়েরাসিংহে আগেই জানিয়েছিলেন, এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকেই দেশটিতে এক অংকে নামতে পারে মূল্যস্ফীতি।

NewsPostbd

Bracking News