রাজধানীতে দুই যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৫, ২০২৩

newspostbd

আমিনুল ইসলাম বাবু:

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই যুবক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তাদের লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতরা হলেন- বাড্ডায় সজল আহমেদ (২৩), ও কামরাঙ্গীচরে হৃদয় মিয়া (২৮)। আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) পৃথক সময়ে ঘটনা দুটি ঘটেছে। আজ সন্ধ্যায় নিউজ পোস্টকে ঘটনা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো: বাচ্চু মিয়া।

তিনি বলেন, মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয় দুটি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

মৃত সজলের খালাতো ভাই সাদমান হোসেন বলেন, আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মধ্য বাড্ডা সলিমুদ্দিন লেনের ভাড়া বাসায় সবার অগোচরে রুমে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সজল। পরে আমরা বিষয়টি টের পেয়ে সেখান থেকে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাদমান আরও বলেন, সজলের সাথে একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি বা ঝগড়ায় হয়েছিল বলে শুনেছি। আর এ কারণেই হয়তো সে ওই মেয়ের সাথে অভিমানে করে আত্মহত্যা করতে পারে। নিহত সজল একটি অ্যাড ফার্মে চাকরি করতো।মৃত সজলের বাবার নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি পরিবহন কাউন্টারে চাকরি করেন। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন সজল।

এর আগে একইদিন কামরাঙ্গীরচরে হৃদয় নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেন। সে নিউ মার্কেটের এ্যালিফেন্ট রোডে একটি প্যান্ট-শার্টের রেডিমেড দোকানে সেলসম্যান ছিল।

রাজধানীতে দুই যুবকের আত্মহত্যা

newspostbd

মৃতের ছোট বোন অনন্যা আক্তার ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিউজ পোস্টকে বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব রসুলপুর ৫ নং গলির ভাড়া বাসায় সবার অগোচরে রুমের ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় হৃদয়।(newspostbd)পরে বিষয়টি টের পেয়ে  আমরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কি কারনে কেন সে আত্মহত্যা করেছে সে ব্যাপারে কিছু জানতে পারেনি নিহতের ছোট বোন অনন্যা আক্তার। তিনি বলেন, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মুন্সীকান্দি গ্রামের টেইলার্স মাস্টার সিরাজ মিয়ার ছেলে ছিলো হৃদয়। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়।


newsInBangla    LatestNewsBd    News bd  newspostbd

ক্যাম্পাস       অর্থনীতি      শিক্ষা      মতামত       দূর্ঘটন     রাজধানী