নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিটি এসবির বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহা. নুরুল হুদার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্য অনুসন্ধান করছে। এর আগে কমিশনের গোয়েন্দা শাখা গোপন অনুসন্ধান করে।
দুদকে জমা হওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গণহত্যায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তিনি ভুয়া সনদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়েছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের নামের পাশাপাশি ভাই-বোন, শ্যালক, শ্যালিকার নামে সম্পদ করেছেন।
পুলিশের চাকরিতে যোগদানের আগে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দী মৌজায় বাড়িতে তাঁর ছোট একটি টিনের ঘর ছিল। পরে ওই বাড়িতে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বানিয়েছেন তিনি। অবৈধভাবে খাস পুকুর ভরাট করতে ২০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। তাঁর বাড়ির বিলাসবহুল আসবাব ও অন্যান্য সামগ্রীর দাম ১ কোটি টাকার বেশি।
অভিযোগে বলা হয়, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বিজয়পাশা মৌজায় ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার জমি কিনেছেন অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রফিকুল। সরকারি জমি দখল করে বহুতল ফাউন্ডেশন দিয়ে ‘কানাডা সুপার মার্কেট’ নামে মার্কেট নির্মাণ করেছেন। ঢাকার মিরপুর চিড়িয়াখানার পাশে প্রায় দুই বিঘা জমি ১২ কোটি ১৯ লাখ টাকায় কিনে আধাপাকা ভবন করে ৬৩টি কক্ষ বানিয়ে ভাড়া দিয়েছেন তিনি। তাঁর নামে আরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে।