অধিকার দিবস ঘোষণাসহ ৭ দফা দাবিতে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৯:১১ অপরাহ্ণ, মে ১৯, ২০২৩

২০ মে-কে ‘চা শ্রমিক অধিকার দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় ঘোষণার এবং চা-শ্রমিকদের সবেতন ছুটি, দৈনিক মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণসহ ৭ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন। শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে মুল্লুক চলো আন্দোলনের ১০২তম বছর স্মরণে চা-শ্রমিক সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা এসব দাবি জানান।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, চা-শ্রমিকসহ শ্রমজীবী মানুষের উন্নতি ছাড়া এসডিজি কিংবা মধ্য আয়ের দেশ গ্রহণযোগ্য হবে না। আর শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায্য পদক্ষেপ বেশি দিন চলবে না। এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে জানান বক্তারা।

তাদের দাবিগুলো হলো: মজুরি বোর্ড ও মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করে মানসম্মত জীবনযাপনের জন্য কমপক্ষে ৬০০ টাকা মজুরি ঘোষণা এবং বর্তমান এরিয়ারের সম্পূর্ণ মজুরি পরিশোধ; চা-শ্রমিকদের ভূমির অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা এবং চা-বাগানের জমি ইকোনোমিক জোনসহ অন্য কোনও প্রজেক্টে ব্যবহার না করা; পর্যাপ্ত স্কুল-হাসপাতাল তৈরি করে শিক্ষা-চিকিৎসার ব্যবস্থা করা; বৃদ্ধ বয়সে চলার উপযোগী পেনশনের ব্যবস্থা এবং শ্রম আইনের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করা; চা যুবগোষ্ঠীর জন্য কাজের ব্যবস্থা করা; সবেতন ছুটি ঘোষণা করা; ২০ মে-কে চা শ্রমিক অধিকার দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজি পাশির সভাপতিত্বে এবং উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত চা-শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক শামীম আরা, সমগীত সাংস্কৃতিক সংগঠনের আহ্বায়ক অমল আকাশ, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা আবু জাফর, অ্যাডভোকেট মঈনুর রহমান মগনু, অ্যাডভোকেট জুনায়েদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক দীপাঙ্কর ঘোষ, সহসভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কাজল রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক কিরণ শুক্লা বৈদ্য প্রমুখ।