নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার থেকে অপহৃত হওয়ার ১২ দিন পর চট্টগ্রাম থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাওয়াল করিম (২২) নামে এক যুবক ও তার বাবা বশির আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-৭।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার (১২ জুন) রাতে গোপন সংবাদে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানার বাংলাবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া থানার পশ্চিমপাড়া গ্রামে।
র্যাব-৭ জানায়, গ্রেফতার সাওয়াল করিম এর আগে ২০১৮ সালেও আরও দুই কিশোরীকে অসৎ উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল। র্যাব আরও জানায়, অপহৃত কিশোরীকে সাওয়াল করিম স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি ভিকটিম তার বাবা-মাকে জানায়। এরপর ভিকটিমের বাবা বিষয়টি সাওয়ালের বাবা-মাকে অবগত করলে উল্টো ক্ষিপ্ত হন তারা। গত ১ জুন কিশোরী তার খালার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে সাওয়াল ওই কিশোরীকে গাড়িতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর মাইক্রোবাসে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রাখে। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পর গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অপহরণকারীর অবস্থান শনাক্ত করা হয়। সেই অনুযায়ী গতকাল সোমবার রাতে নগরীর বায়েজিদ থানার বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-৭ এর একটি দল। সেখান থেকে অপহরণকারী সাওয়াল করিম ও তার বাবা বশির আহমেদকে গ্রেফতারসহ তাদের হেফাজত থেকে অপহরণের ১২ দিন পর অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, সাওয়ালের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় অপহরণের মোট ৩টি মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী এবং ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আরেক কিশোরীকে অপহরণ করেছিল। গ্রেফতারদের সোমবার রাতেই চকরিয়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব।