অস্ট্রেলিয়ার চার্চে হামলার শিকার বিশপ জনপ্রিয় টিকটক তারকা

প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ 

অস্ট্রেলিয়ার একটি চার্চে গতকাল ছুরি হামলার শিকার হয়েছেন একজন বিশপ। হামলার পূর্বে তিনি চার্চ থেকে লাইভ স্ট্রিমিং করছিলেন। তিনি ধর্ম প্রচারকের পাশাপাশি একজন জনপ্রিয় টিকটক তারকা বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মুখভর্তি সাদা দাঁড়ি, গাউন পরিহিত, হাতে একটি বড় ক্রস নিয়ে অ্যাসিরিয়ান ক্রাইস্ট দ্য গুড শেফার্ড চার্চের বিশপ ইমানুয়েলের বক্তব্যে ধর্মীয় উপদেশ, বাইবেলের প্রতি বিশ্বাস থেকে শুরু করে সমকামীতা, কোভিড ভ্যাকসিন, ইসলাম ধর্ম এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনের মতো বিষয় শোনা যায়।

৫৩ বছর বয়সী ওই বিশপ টিকটকে বেশ জনপ্রিয়। এমনকি ১ লাখ অনুসারীর মাইল ফলক অর্জন করায় ২০২৩ সালে তিনি ইউটিউবের সিলভার প্লে বাটনও পেয়েছেন। তবে তাকে সমালোচনা, ঘৃণা এবং অনলাইন ট্রলের শিকারও হতে হয়েছে।সোমবার রাতে পশ্চিম সিডনির ওই চার্চে একটি বক্তৃতার সময় এক কিশোর তাকে এবং অন্যান্য উপাসকদেরকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে।

অনলাইনে পোস্ট করা ফুটেজে হামলাকারীকে ইসলাম সম্পর্কে ইমানুয়েল যে মন্তব্য করেছিলেন তার সমালোচনা করতে শোনা গেছে। পুলিশ মঙ্গলবার বলেছে, হামলাটি সন্দেহভাজন ধর্মীয় উগ্রবাদে অনুপ্রাণিত হয়ে করা হয়েছে।অনলাইনে পোস্ট করা এবং ব্যাপকভাবে শেয়ার করা কিছু উপদেশে ইমানুয়েল ইসলামিক ধর্মতত্ত্বের কিছু অংশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও অন্যগুলোতে তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি তার ভালোবাসা এবং কীভাবে তিনি নিয়মিত তাদের জন্য প্রার্থনা করেন তার ওপরই আলোচনা করেছেন।

সাম্প্রতিক এক পোস্টে তিনি গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন।অন্যান্য ধর্মোপদেশে ইমানুয়েল ধর্মনিরপেক্ষ বিশ্বের স্বপ্ন দেখেছেন। তিনি বাইডেনের নির্বাচনের ওপরও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও সমকামীদের অধিকারের প্রতি বাইডেনের সমর্থনেরও সমালোচনা করেন বিশপ ইমানুয়েল।

অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঈশ্বরের প্রতি সত্য থাকতে এবং ফ্রিম্যাসনদের প্রভাবকে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।কোভিড মহামারী চলাকালীন ইমানুয়েল তুমুল জনপ্রিয় হন। কারণ এ সময়টায় তিনি অনলাইনে ধর্মীয় ভিডিও প্রচার করেছেন বেশি।

রয়টার্সকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, ইমানুয়েলের ওপর হামলার পর স্থানীয়দের মধ্যে অনেক ক্ষোভের জন্ম দেয়। একটি বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে ঢিল ও ইট ছুঁড়েছে। তারা অনেকে মিসর, ইরাক, সিরিয়া, লেবাননের মতো দেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করেছেন।