আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমাদের দুই মেয়র প্রার্থী ফজলে নুর তাপস এবং আতিকুল ইসলাম ভোটে বিজয়ী হবেন। এই বিজয়ের পরে ঢাকাবাসীদের জন্য আমরা উন্নত এবং পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তুলবো ইনশায়াল্লাহ।’
আজ সকালে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদানের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘এইমাত্র আমি আমার ভোট দিয়েছি এবং মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়েছি এবং কাউন্সিলর পদে (রফিকুল ইসলাম) বাবু ও শিরিনকে (গাফফার) ভোট দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, নগরীর আরো উন্নয়নে এবং বিভিন্ন চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম ভালোভাবে সম্পন্ন করার জন্য নগরবাসী নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করবে।’
ঢাকা মহা নগরীর উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে বিজয়ের পরে আমরা এসব উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সকাল ৮টায় ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট প্রদান করেন।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছেন এবং প্রথম ভোটার হিসেবে কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় ২৪১ নন্বর কক্ষে গিয়ে ভোট প্রদান করেন।
ভোট প্রদান জনগণের অধিকার এবং এটি সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণ যাতে স্বতস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিয়োজিত আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শৃংঙ্খলা বজায় রেখে জনগণকে তাদেও ভোট প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে আমার পছন্দ তাকে দেব এবং এই নীতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করবে।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, তিনি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে খুব সহজেই ভোট প্রদান করেছেন। ‘আমি অত্যন্ত স্বল্প সময়ে এবং খুব সহজেই আমার ভোট দিতে পেরেছি।’
‘শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন যে, নির্বাচন কমিশন এই ডিজিটাল পদ্ধতিতে সারাদেশে ভোট গ্রহনের আয়োজন করতে পারবে এতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে এবং কেউ তাদের ভোটাধিকার খর্ব করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলোকে বারবার সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে প্রত্যেক ভোটার নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে তাদের পছন্দেও প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন পরিবেশ তৈরি করতে চাই যাতে প্রত্যেক ভোটাররা যথাযথভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি এবং অনেক আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।’ এরফলে দেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করবো ইনশায়াল্লাহ।’