আদেশ লঙ্ঘনে ট্রাম্পের শাস্তি চান প্রসিকিউটররা
পর্নো তারকাকে ঘুষ দিয়ে নির্বাচনি বিধি ভেঙেছেন ট্রাম্প!
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ
মুখ বন্ধ রাখতে পর্নো তারকাকে ঘুষ দিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে এ কাজ করেছিলেন ট্রাম্প। বিষয়টি তিনি গোপন রেখেছিলেন বলে অভিযোগ।আদেশ লঙ্ঘনে ট্রাম্পের শাস্তি চান প্রসিকিউটররা
এদিকে ঘুষ মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য ট্রাম্পের শাস্তি চেয়েছেন প্রসিকিউটররা। গতকাল এই মামলার তত্ত্বাবধানকারী বিচারকের কাছে ট্রাম্পকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করার দাবি জানান। এ মামলার সাক্ষী এবং মামলার সঙ্গে জড়িত অন্যদের নিয়ে সমালোচনা করা থেকে ট্রাম্পকে বিরত রাখার জন্য ওই আদেশ (গ্যাগ অর্ডার) জারি করেছিল আদালত।
সোমবার ম্যানহাটানের আদালতে হাজিরা দিতে হয় ট্রাম্পকে। এ বছরেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। ৩৪ ফেলোনি কাউন্টে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ, ২০১৬ সালে নির্বাচনের আগে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে বিপুল পরিমাণ অর্থ তাকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাছে সে কথা গোপন রেখেছিলেন তিনি। অর্থাৎ, এই তথ্য তিনি উল্লেখ করেননি।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন ড্যানিয়েলস। নির্বাচনের আগে সেই অভিযোগ ধামাচাপা দিতে ড্যানিয়েলকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করানোর চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প, এমনই অভিযোগ। আদালতে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, তথ্য গোপন রেখে ট্রাম্প অর্থ দিয়েছিলেন। তার বক্তব্য, সে সময় ট্রাম্পের আইনজীবী ছিলেন মিশেল কোহেন। তার হাত দিয়েই ড্যানিয়েলকে অর্থ পাঠিয়েছিলেন ট্রাম্প।
আদালতে প্রসিকিউটার অভিযোগ করেছেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে বেআইনি পথ অবলম্বন করেছেন ট্রাম্প। তথ্য গোপন রেখে অর্থ খরচ করে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের আইনজীবীরা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের পালটা বক্তব্য, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা হচ্ছে।
আগামী দুই মাস ধরে আদালতে এই মামলার শুনানি চলতে পারে। সেখানে ট্রাম্পকেও উপস্থিত থাকতে হবে। ফলে নির্বাচনী জনসভায় না গিয়ে ট্রাম্পকে আদালতে হাজিরা দিতে যেতে হবে। ট্রাম্প বলেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচার থেকে আমায় সরানোর জন্যই এই ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু এভাবে আমায় হারানো যাবে না।’ বস্তুত, এই মামলায় ট্রাম্পের অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তিনি ২০২৪-এর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন এবং ভোটে জিতলে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন। -ডয়চেভেলে