আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারকে সহায়তার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা অন্যতম উদাহরণ: আইসিসির আইনজীবী

প্রকাশিত: ৯:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশে চার দিনের সফর শেষে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের (আইসিসি) কৌঁসুলি করিম এ এ খান বলেছেন, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশ ন্যায়বিচারের পতাকা আঁকড়ে ধরার কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন নিয়ে তদন্ত করতে পারছে আইসিসি। আজ শুক্রবার (৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে নিজের সফর বিষয়ে আলোচনার সময় একথা বলেন তিনি।

সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেছেন করিম। এটি বাংলাদেশে তার দ্বিতীয় সফর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকটি অত্যন্ত ভালো হয়েছে জানিয়ে করিম খান বলেন, আমার মনে হয় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারকে সহায়তা করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উদাহরণ। তার নেতৃত্বের কারণে রোহিঙ্গারা এখানে আশ্রয় পেয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন সহায়তা পেয়েছে এবং আমার অফিস ও আইসিসিকে বাংলাদেশ অনেক সহায়তা করেছে।

ন্যায়বিচারের বীজ বাংলাদেশ থেকে এসেছে এবং এটি কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়। এর জন্য প্রতিটি বাংলাদেশির গর্ব করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

দ্রুত তদন্ত শেষ করবে আইসিসি

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত দ্রুত শেষ করতে চায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট। এজন্য তাদের দল বাংলাদেশ এবং অন্যান্য জায়গায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এর কৌঁসুলি করিম এ এ খান।

রোহিঙ্গা মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত করতে হবে জানিয়ে করিম খান বলেন, রোহিঙ্গাদের যেটি প্রয়োজন সেটি হলো- কথা নয়, কাজের মাধ্যমে তাদের ওপর যারা নির্যাতন করেছে তাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, আমাদের এটি করতে হবে কারণ বর্তমানে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার এবং এর সুষ্ঠু প্রয়োগের মধ্যে একটি দূরত্ব রয়েছে। যদি আমরা মেনে নেই যে প্রতিটি মানুষের জীবনের মূল্য আছে, তাহলে আমাদের আরও ভালো করতে হবে।

করিম আরও বলেন, আমি আগামী বছর আবার ঢাকায় আসবো। আমি প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না যে তখন তদন্ত শেষ হয়ে যাবে। তবে আমার দল কঠোর পরিশ্রম করবে এবং আমরা ফলাফল আশা করছি।

রোহিঙ্গাদের সহায়তা

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ কমছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, আমি কয়েক ঘণ্টা আগে সিএনএনকে একটি ইন্টারভিউ দিয়েছি এবং আমি একটি পরিসংখ্যান আবার বলতে চাই। এই পরিসংখ্যানটি আমাকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার লোকেরা জানিয়েছে। গত মার্চ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের তিনবেলা খাবারের জন্য টাকা দেওয়া হতো। কিন্তু মার্চের পর থেকে কেউ দুই বেলা খাচ্ছে এবং কেউ কেউ সেটিও পাচ্ছে না। তাদের প্রতিদিনের জন্য ৯ টাকা করে দেওয়া হয় তাদের সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য। ৯ টাকা দিয়ে তারা কী কিনতে পারে। আমাকে বলা হয়েছে একটি ডিমের দাম ১২ টাকা।