আপিলেও বহাল গ্রামীণ কল্যাণের শ্রমিকের পাওনার আদেশ

প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টের জারি করা রুল আগামী ২ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল আদালত। এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসন ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও ব্যারিস্টার মো. গোলাম রাব্বানি শরীফ। গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল¬াহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।

এর আগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী, কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের আদেশ বহাল থাকবে বলে আদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত। একই সঙ্গে আজ ১০ জুলাই আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানি হয়।

শ্রমিকদের পক্ষে করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২২ জুন) আপিল বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের ছয় মাসের স্থিতাবস্থা জারির আদেশ স্থগিত করে এ আদেশ দেন। আদালতে ওইদিন শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও ব্যারিস্টার মো. গোলাম রাব্বানি শরীফ। গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ।
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, হাইকোর্টের ছয় মাসের স্থিতাবস্থা জারির আদেশ স্থগিত বহাল রেখেছেন। একই সাথে, দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
গত ৩০ মে গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী, কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যক্রমে ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থা দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১০৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। এ সময়ে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। কিন্তু এ লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে শ্রমিকরা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু তাতে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা শ্রম আদালতে মামলা করেন।