আবরার হত্যা মামলা: কনডেম সেলে বুয়েটের ১৭ ছাত্র

প্রকাশিত: ১১:০৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০২১

মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বি হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামি এখন কনডেম সেলে। ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে তাদের রাখা হয়েছে। প্রতিটি সেলে একজন করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাসূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে ওই সূত্র জানিয়েছেন, দণ্ডিতদের অনেকেই এখন অনুতপ্ত। তাদের কেউ কেউ বলছেন, ওইদিন এভাবে নির্যাতন না করলে আবরারকে হয়ত করুণ পরণতি বরণ করতে হত না।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে সেহেতু ডেথ রেফারেন্স ও আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কনডেম সেলেই জীবন অতিবাহিত করতে হবে। সাধারণত সালের ক্রম অনুযায়ী হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানি হয়ে থাকে। সেই হিসাবে ২০২৭ সালের আগে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি অনিশ্চিত। তবে রাষ্ট্রপক্ষ বা সুপ্রিম কোর্ট যদি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে তাহলে দুই বছরের মধ্যে মামলাটির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে নিষ্পত্তি সম্ভব। ইতির্পূর্বে অনেক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডেথ রেফারেন্সের শুনানি হাইকোর্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, পিলখানা হত্যা মামলা, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন, সিলেটের রাজন, খুলনার রাকিব, পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজ দম্পত্তি হত্যা মামলা।

৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এই দন্ড দেওয়া হয় বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। রায়ে আরও ৫ ছাত্রকে দেওয়া যাবজ্জীবন সাজা। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে তিনজন পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তাদের সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

রায়ের পর ওইদিনই আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তিপ্রাপ্ত ১৭ জনকে কনডেম সেলে পাঠানো হয়। দণ্ডিতরা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতাকর্মী। একইসঙ্গে তাদের ছাত্রত্বও বাতিল করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীদের নেতাকর্মীদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন আবরার ফাহাদ।