আবাসনের দাবিতে কাঁথা-বালিশ নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান জবি শিক্ষার্থীদের

সানজিদা মাহবুবা:
আবাসন ভাতা, হল নির্মাণসহ তিন দফা দাবিতে দুইদিন ধরে কাঁথা বালিশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের ওয়ার্ডে অবস্থান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (২০শে এপ্রিল) বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেন।
মঙ্গলবার (২২শে এপ্রিল) দুপুরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হল নির্মাণ এবং হল নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত ৭০% শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা নিশ্চিত করা সহ তিন দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। প্রায় ১২ জন শিক্ষার্থী অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ইতোপূর্বে আন্দোলন করে প্রশাসন থেকে আশ্বাস পেয়েও আবাসন ভাতা এবং পুরাণ ঢাকায় হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবন নির্মাণের কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি তারা দেখতে পাননি। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন এবং আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে অগ্রসর হবেন।
এছাড়াও, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মেডিকেল সেন্টারকে অস্থায়ী হল ঘোষণা করেছেন। যতদিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হবে অথবা আবাসন বৃত্তি না দেয়া হবে ততদিন সেখানেই অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রথম থেকে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগদান করা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ আল মামুন তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, অবস্থান কর্মসূচিতে আমরা ১২ জনের মত আছি। আমাদের ঘোষিত তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। যদি দাবি আদায় না হয় তবে আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইএমল বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী মো. শের আলি সর্বপ্রথম ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। তিনি বলেন, আর্থিক সমস্যার আমি আমার বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। আমার কোন থাকার জায়গা নেই। ঈদের পর থেকে কিছুদিন বন্ধুদের মেসে ছিলাম। তাছাড়া আর্থিক সমস্যার কারণে কোন নতুন বাসাও নেয়া যাচ্ছে না৷ তাই হল নির্মাণ এবং হল নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত আবাসন বৃত্তি আমাদেরকে দিতে হবে। দাবি আদায় না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যাব।
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আকাশ বলেন, আমাদেরকে হল নয়ত আবাসন ভাতা দিতে হবে। আমরা বারবার আশ্বাস পেয়েছি কিন্তু কোন প্রকার বাস্তবায়ন দেখিনি। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবিগুলোর দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখি, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব। আপাতত ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব।